সারাদেশের ৭৮টি হাসপাতাল, ল্যাবরেটরি ও গবেষণাগারকে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। অনুমতি পাওয়া এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
আর নমুনা পরীক্ষার ফি ধরা হয়েছে ৭০০ টাকা। আর বাড়িতে গিয়ে নমুনা পরীক্ষা করলে অতিরিক্ত ৫০০ টাকা দিতে হবে। তবে একটি বাড়িতে গিয়ে একাধিক ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করালেও অতিরিক্ত চার্জ ৫০০ টাকার বেশি হবে না।
রবিবার (১৮ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. মো. ফরিদ উদ্দিন মিঞা অনুমোদন পাওয়া হাসপাতালগুলোকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন।
ডা. ফরিদ মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এসব প্রতিষ্ঠান অ্যান্টিজেন টেস্টের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিল। আমরা যেসব শর্ত দিয়েছিলাম তারা সেগুলো পূরণ করেছে। এ কারণে আমরা অনুমোদন দিয়েছি।’
স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী কোভিড-১৯ এর উপসর্গ/ লক্ষণযুক্ত (সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, মাথা ব্যথা, নাকে ঘ্রাণ না পাওয়ায়, মুখে স্বাদ না পাওয়া, ডায়রিয়া ইত্যাদি) ব্যক্তি ও আগের ১০ দিনের মধ্যে কোভিড পজিটিভ রোগীর সরাসরি সংস্পর্শে আসা ব্যক্তির ক্ষেত্রে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা প্রযোজ্য হবে।
এক্ষেত্রে এসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো দুটি কোম্পানির র্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট ব্যবহার করতে পারবে। তার মধ্যে একটি হলো দক্ষিণ কোরিয়ার এসডি বায়োসেনসর আরেকটি হলো যুক্তরাষ্ট্রের প্যানবায়ো।
র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের প্রতিটি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ খরচ ৭০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশেষ ক্ষেত্রে বাসা থেকে নমুনা সংগ্রহে অতিরিক্ত ৫০০ টাকা এবং একই পরিবারের একের বেশি সদস্যের নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রেও চার্জের পরিমাণ ৫০০ টাকার বেশি হবে না বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা এই লিংক থেকে আপনি জানতে পারবেন।