fbpx

সিঙ্গাপুরে বাড়িতে গিয়ে পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে ‘ক্যামেলো’  

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

রোবট দিয়ে পণ্য ডেলিভারি নতুন কোনো ধারণা নয়। বিশ্বের অন্যতম টেক জায়ান্ট অ্যামাজন পণ্য ডেলিভারিতে রোবট ব্যবহার করছে। তাদের এই প্রয়াস এরই মাঝে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। সিঙ্গাপুরের  একটি কোম্পানি এবার অ্যামাজনের দেখানো পথে হাঁটা শুরু করেছে। তারাও পণ্য ডেলিভারিতে রোবট ব্যবহার করছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমনটিই জানিয়েছে।

জানা গেছে, দুটি রোবট সিঙ্গাপুরের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মুদি দ্রব্য পৌঁছে দিচ্ছে। পরীক্ষামূলকভাবে এরই মাঝে তারা এক বছরে সাতশ’র বেশি পণ্য পৌঁছে দিয়েছে।

ওটিএসএডব্লিউ ডিজিটাল নামের এক কোম্পানি এই দুটি রোবট তৈরি করেছে। আর মান দিয়েছে ‘ক্যামেলো’।

এই রোবট দিয়ে পণ্য নিতে হলে আগে থেকে ব্যবহারকারীদের ‘স্লট বুক’ করে নিতে হয়।

পরে রোবট দুটি অর্ডার অনুযায়ী সামগ্রী নিয়ে এলে অ্যাপের নোটিফিকেশনের মাধ্যমে তা জানতে পারেন ব্যবহারকারীরা এবং সেগুলো বুঝে নিতে পারেন।

রয়টার্স বলছে, রোবট দুটিতে থ্রিডি সেন্সর, ক্যামেরা এবং ২০ কেজি ওজনের সামগ্রী বহনের জন্য খালি জায়গা রয়েছে। সপ্তাহে প্রতি কর্ম দিবসে তারা চার থেকে পাঁচটি পণ্য ডেলিভারি দিতে পারবে। আর শনিবার তারা অর্ধদিবস কাজ করবে।

ওটিএসএডব্লিউ এর প্রধান নির্বাহী লিঙ টিঙ মিঙ জানিয়েছেন, প্রতি সরবরাহের পর নিজেদের জীবাণুমুক্তকরণে রোবট দুটি আল্ট্রাভায়োলেট লাইট বা অতিবেগুণি রশ্মি ব্যবহার করে।

তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে মহামারীর এ সময়টিতে সবাই যেহেতু স্পর্শহীন, মানবহীন সমাধান খুঁজছেন, সেক্ষেত্রে এটি অবশ্যই সবার জন্য নিরাপদ।

তবে আপাতত এই রোবট দুটিকে একা ছাড়া হচ্ছে না। সব সময় তাদের সাথে একজন প্রাতিষ্ঠানিক কর্মী থাকছেন, যাতে তাদের কোনো সমস্যায়  পড়তে না হয়।

২৫ বছর বয়সী শিক্ষার্থী তাশফিক হায়দার এই রোবটের কাছ থেকে সেবা নিয়েছেন। তিনি বলছেন, এটি বড়দের জন্য বিশেষ সহায়ক হতে পারে। তাহলে আর কস্ট করে পণ্য বয়ে নিতে হবে না।

অন্যদিকে, ৩৬ বছর বয়সী গৃহিনী জু ইয়া জিন বলছেন, “অল্প বয়সী গ্রাহকরা এটি পছন্দ করছেন। তবে বয়স্করা এই প্রযুক্তি পছন্দ করবেন না বলে মনে করেন তিনি। কেননা এগুলো তরুণরাই বেশি পছন্দ করে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply