fbpx

সেফটি ট্যাংকে উদ্ধার হওয়া মরদেহ, হত্যার পরিকল্পনাকারী স্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

রাজধানীর দক্ষিণখানে মসজিদের সেফটি ট্যাংকে উদ্ধার হওয়া মরদেহের ঘটনায় মসজিদের ইমামসহ নিহতের স্ত্রী আসমা আক্তারকে আটক করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‍্যাব।

গতকাল ২৫ মে মঙ্গলবার রাতে আব্দুল্লাহপুর থেকে আসমাকে আটক হরা হয়।

গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব জানায়, নিহতের স্ত্রী আসমা আক্তার তার স্বামী আজাহার হত্যাকাণ্ডের মুল পরিকল্পনাকারী। আসমা আক্তারের কথা অনুযায়ী আজাহারকে গলাকেটে মরদেহ ছয় টুকরা করে সেফটি ট্যাংকে ফেলে দেন মসজিদের ইমাম আব্দুর রহমান।

এ বিষয়ে র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান জানান, আটক আসমা আক্তার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বামীর হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করেছে।

এর আগে ২৫ মে সকালে এই হত্যার সাথে জড়িত মসজিদের ইমাম আব্দুর রহমানকে আটক করা হয়। আজহারের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার জেরে তাকে গলাকেটে মরদেহ ৬ টুকরা করে সেফটি ট্যাংকে ফেলে দেন আব্দুর রহমান।

র‍্যাব জানায়, মাওলানা আব্দুর রহমান সরদারবাড়ি জামে মসজিদে ৩৩ বছর ইমামতি করছেন। আজাহারের ছেলেকে কোরআন শিক্ষার সুবাদে বাসায় যাওয়া আসা ছিল ইমামের। আজহারের স্ত্রীর দিকে ইমামের কুনজর রয়েছে বলে ধারনা করেন আজহার। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগ-বিতণ্ডা হয় এবং ইমামকে হুমকিও দেন আজহার। কিন্তু র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে কোনো সম্পর্ক থাকার কথা অস্বীকার করেছেন না ইমাম। তবে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন তিনি।

গত ১৯ মে আব্দুর রহমানের সঙ্গে ভিকটিম আজহারের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ইমাম আব্দুর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে আজহারের গলার ডানপাশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে ভিকটিম ঘটনাস্থলে মারা যান। পরবর্তীতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার উদ্দেশ্যে মরদেহ টুকরো টুকরো করে মসজিদের সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply