fbpx

সোনাগাজীর বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে ৩৪৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ফেনীর সোনাগাজী সমুদ্র উপকুলে বেড়েছে তরমুজের চাষাবাদ। এ বছর উপজেলায় বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের প্রায় ৩৪৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। এবার গত বছরের তুলনায় ২৮ হেক্টর বেশি জমিতে তরমুজ চাষাবাদ করা হয়েছে।

এই অঞ্চলের আবহাওয়া ও পরিবেশ তরমুজ চাষের জন্য বেশি উপযোগী এর ফলেই কম খরচে অধিক লাভবান হওয়ায় কৃষকরা বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছে এই কাজে।

এক সময় এই উপজেলার জমি রবি মৌসুমে খালি পড়ে থাকতো। এখন চর দরবেশ, চর চান্দিয়া, আমিরাবাদ ও সদর ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এসব জমিতে আবাদ হচ্ছে নানা ধরনের ফসল।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, গত বছরে এ অঞ্চলে তরমুজের চাষ হয়েছিল ৩১৭ হেক্টর জমিতে। এ বছর আরও বেশি জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। আগে এখানকার চষীরা অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করতো আর এখন স্থানীয় চাষীরাই আবাদ করে।

কৃষক শাহরাজ সর্দার জানান, গতবছর তিনি ৬ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেন। ফলনও ভালো হওয়ায় লাভ হয়েছে প্রায় ৩ লাখ টাকার মত। এ কারণে এবারও একই পরিমাণ জমিতে তরমুজের আবাদ করেছেন তিনি।

স্থানীয় চাষীরা বলছেন, তরমুজ চাষে খরচ কম ও তুলনামূলক সহজ। গাছগুলোর একটু বাড়তি যন্ত নিলেই এতে ফলন ভালো হয়। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সার্বক্ষণিক সেবা পেয়ে থাকেন বলেও জানান তারা।

এ অঞ্চলে আবাদ হয় ভিক্টর সুগার, ওশেন সুগার, গ্লোরি, বাংলালিংক, ব্ল্যাক বেরি, স্থানীয় ও অন্যান্য জাতের তরমুজ। গতবছর প্রায় ১৬ হাজার  টন তরমুজ উৎপাদন হয়েছে এখানে। এবার আরও অধিক পরিমাণে উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন চাষীরা।

সাধারণত ডিসেম্বরের শুরু থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত তরমুজের আবাদ শুরু হয় এবং ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত জাতভেদে ফল বাজারজাত করা হয়।

Advertisement
Share.

Leave A Reply