fbpx

স্বল্পমূল্যে করোনা রোগীর হাইফ্লো অক্সিজেন নিশ্চিত করবে ‘অক্সিজেট’

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলেছে প্রতিদিন মৃত্যুতে হচ্ছে রেকর্ড সেই সাথে চাহিদা বাড়ছে অক্সিজেন ও আইসিউর। অনেক সময় জরুরী মুহুর্তে বিদ্যুতের সমস্যা ও বিভিন্ন যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে রোগীর জন্য হাইফ্লো অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব হয় না।

সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) একদল গবেষক ‘অক্সিজেট’ নামের একটি ডিভাইস উদ্ভাবন করেছে, যা কিনা বিদ্যুৎ ব্যবহার না করে স্বল্পমূল্যে করোনা রোগীদের হাইফ্লো অক্সিজেন নিশ্চিত করতে পারবে।

বুয়েটের বায়োমেডিকেল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একদল গবেষক দীর্ঘ ১০ মাসের গবেষণার পর স্বল্পমূল্যে অক্সিজেন এবং উচ্চগতির ভেন্টিলেশন নিশ্চিত করতে ‘অক্সিজেট’ নামের একটি ডিভাইস তৈরি করেছে ।

ডিভাইস গবেষণায় অংশ নেওয়া বুয়েটের বায়োমেডিকেল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌসিফ হাসান জানান, বাংলাদেশের অনেক হাসপাতালে ইলেকট্রিক পাওয়ারের একটা সমস্যা আছে। উদাহরণ স্বরুপ তিনি বলেন, যেমন ঢাকা মেডিকেলের সব বেডের পাশে, কিন্তু ইলেকট্রিক আউটলেট নেই। এ জন্য আমরা দেখতে থাকি কীভাবে বিদ্যুৎ ছাড়া স্বল্পমূল্যে হাইফ্লো অক্সিজেন দেওয়া যায়।

সেখান থেকেই ‘অক্সিজেট’ ডিভাইসের কনসেপ্টটা আসে। তবে এর বাইরে আরও যে প্রযুক্তি আছে সেগুলো ব্যয়বহুল। তাই আমাদের প্রথম থেকেই চেষ্টা ছিল এমন একটা জিনিস তৈরি করব যেটার দাম কম হবে কিন্তু আমাদের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবে।

তিনি জানান, বিএমআরসির অনুমোদন নিয়ে ফেজ এক ও দুই-এর পরীক্ষা করানো হয়েছে এবং আশানুরুপ সফলতাও পেয়েছেন।

গবেষকদের সহকারী মীমনুর বলেন, একজন রোগীকে কতটুকু অক্সিজেন দিলে বা বাতাসের সঙ্গে মিশালে তার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ হবে, একই সঙ্গে তার অক্সিজেনের মাত্রা যেন ঠিক থাকে-এসব বিষয় মাথায় রেখে আমরা টেস্টিং এবং কম্পিউটার সিমুলেনের মাধ্যমে ডিভাইসটির ডিজাইন করি।

পরে এটাকে ইনহাউজ থ্রিডি প্রিন্টারের মাধ্যমে প্রিন্ট করা হয়েছে। এটি করতে কারেন্ট প্রযুক্তিতে লাগে দুই হাজার টাকা। তবে বড় পরিসরে করলে খরচ আরও কমে আসবে বলে মনে করছেন গবেষকরা।

 

Advertisement
Share.

Leave A Reply