fbpx

স্বাধীনতার মাসে পূর্বাচলে হবে বাণিজ্য মেলা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

প্রতি বছর জানুয়ারি মাসে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। তবে এবার করোনাকালে তা হচ্ছে না। বদলে যাচ্ছে মেলার স্থান ও শুরুর তারিখ। মেলা আয়োজক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) রবিবার জানিয়েছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমলে আগামী বছর মার্চে পূর্বাচলে আয়োজিত হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২১।

ইপিবি সূত্র জানায়, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে ২০২১ সালের মার্চের মাঝামাঝি সময়ে নতুন শহর পূর্বাচলে মাসব্যাপী এ মেলা আয়োজিত হবে। পাশাপাশি মেলা চলবে অনলাইনেও।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছর ১ জানুয়ারি থেকে এই মেলা শুরু হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জন্য এবার মার্চ মাসে মেলা শুরুর প্রস্তাব এসেছে। তাই সবকিছু বিবেচনা করে আগামী মার্চে পূর্বাচলে স্থায়ী প্রদর্শনী কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা অনলাইন ও শারীরিক উপস্থিতি- উভয় পদ্ধতিতে আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।

রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর বোর্ডসভায় এই মেলা নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দিন, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান এএইচ এম আহসান, ইপিবি মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমানসহ আরো সংশ্লিষ্টরা।

সভা শেষে গণমাধ্যমকে জানানো হয়, আগামী জানুয়ারিতে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা অনুষ্ঠিত হবে না। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ১৭ মার্চ বা ২৬ মার্চ বাণিজ্যমেলা উদ্বোধনের জন্য একটি প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই তা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানোর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিলেই মার্চে অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা।

আরও জানানো হয়, করোনা মহামারীর জন্য কী উপায়ে এই মেলা হবে বা অন্যান্য কি কি নিরাপত্তা নেওয়া হবে, সে বিষয়ে আলোচনার জন্য শিগগিরই একটি বৈঠক করা হবে। এখন সবকিছু প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির ওপর নির্ভর করছে।

ইপিবি মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, করোনার জন্য এবার আমরা জানুয়ারিতে মেলা আয়োজন করতে পারছি না। তবে বাণিজ্যমেলার নিজস্ব কমপ্লেক্স বা বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রটি ৩১ ডিসেম্বর পেয়ে যাবো। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা তারিখ চেয়ে প্রাথমিকভাবে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছি। এখন প্রধানমন্ত্রী যদি সম্মতি দেন তাহলে মেলা আয়োজন করা হবে। আর প্রধানমন্ত্রীর নির্ধারিত তারিখে মেলা উদ্বোধন করা হবে। এজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। তিনি সিদ্ধান্ত দিলে আমরা আগামী সপ্তাহে মেলা স্টিয়ারিং কমিটির সভা করে তা চূড়ান্ত করবো।

তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবারের বাণিজ্যমেলা সীমিত পরিসরে অনলাইন ও শারীরিক উপস্থিতি উভয় পদ্ধতিতেই আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে এবারের মেলার আয়োজন করা হবে। এজন্য স্টল বা প্যাভিলিয়নের অনলাইন ব্যবস্থাপনা রাখা হবে। পাশাপাশি অনলাইনে বিভিন্ন দেশের ক্রেতারাও পণ্য কেনার জন্য অর্ডার করতে পারবেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply