ঘড়ির কাঁটায় সকাল ৬ টা বেজে ২৮ মিনিট। সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে বেজে ওঠলো বিউগলের করুণ সুর। সেই সাথে স্তব্ধ চারপাশের পরিবেশ। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সামনে মাথা নত করে এক মিনিটের নীরবতা পালন করছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তারা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর সকালে বীর শহীদদের ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গার্ড অফ অনার দেয় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল।
এরপরই জাতির সূর্যসন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। তিন বাহিনীর প্রধান এরপর স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
পরমূহূর্তে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। এ সময় তার পাশে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, হাছান মাহমুদসহ আরও অনেকে।
তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সকাল ৭টার দিকে স্মৃতিসৌধের দরজা সবার জন্য খুলে দেওয়া হয়।
দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে স্বাধীনতার লাল টুকটুকে সূর্য ছিনিয়ে আনে বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা। এবার গোটা দেশ সেই স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করছে।
এবারও বিজয় দিবস উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সম্মিলিত বাহিনীর বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমভিত্তিক যান্ত্রিক বহর প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করবেন রাষ্ট্রপতি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের রাষ্ট্রপতি অমরনাথ কোবিন্দ এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।