স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জন ব্লিংকেন। আজ রোববার (২৬ মার্চ) এক বিবৃতিতে স্বাধীন বাংলাদেশের অর্জন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারিত্ব তুলে ধরেন তিনি।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে উল্লেখ করে ব্লিংকেন বলেন, সবার জন্য উন্মুক্ত, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সমর্থনে আমরা কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতির শুরুতে ব্লিংকেন বলেন, ৫৩তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনকালে বাংলাদেশের গর্ব করার অনেক কারণ রয়েছে। দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি, ক্রমবর্ধমান সুশিক্ষিত কর্মশক্তি এবং গতিশীল যুব জনগোষ্ঠী নিয়ে দ্রুত একটি আঞ্চলিক নেতা হয়ে উঠছে বাংলাদেশ।
বিবৃতিতে উঠে এসেছে নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ের বিষয়টি। বাংলাদেশের জনগণকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, গণহত্যা থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের উদারভাবে স্বাগত জানিয়ে দুর্বল উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দিয়ে আপনারা মানবিক প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছেন।
জলবায়ু সংকটে অভিযোজন কৌশল তৈরি করে পরিবেশ রক্ষা এবং জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা জোরদার করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নেতৃত্ব দেখিয়েছে বলেও জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব এবং গত পাঁচ দশকে এর ফলস্বরূপ অর্জনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, অতি সম্প্রতি আমরা কভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াই, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা এবং মুক্ত ও অবাধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রচারে একসঙ্গে বাস্তব পদক্ষেপ নিয়েছি। আরো বলা হয়, সবার জন্য উন্মুক্ত, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সমর্থনে আমরা আপনাদের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
গণতান্ত্রিক রীতিনীতি, সুশাসন, মানবাধিকার ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা— এ সবই উন্নয়নশীল, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ সমাজের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে বিবৃতিতে ব্লিংকেন বলেন, আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ সেই সম্ভাবনা অর্জন করবে।
যুগোপযোগী বিষয়ে আমাদের সহযোগিতার কারণে আমেরিকান ও বাংলাদেশীরা একসঙ্গে শক্তিশালী। আগামী বছরে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করার জন্য উন্মুখ বলেও জানান অ্যান্টনি ব্লিংকেন।
