fbpx

স্বাস্থ্যকর খাবার মানেই অনেক খরচ নয়, দরকার সঠিক পরিকল্পনা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

স্বাস্থ্যই সম্পদ, এই কথার সাথে দ্বিমত করার মানুষ সম্ভবত খুঁজে পাওয়া যাবে না। কারণ, সুস্থ্য না থাকলে আপনি কোনভাবেই জীবনকে উপভোগ করতে পারবেন না। আর সুস্থ্যতার জন্য দরকার স্বাস্থ্যকর খাবার, পরিমিত জীবন যাপন।

অনেকেই মনে করেন স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে প্রচুর টাকার দরকার হয়। এই ধারণাটি একেবারেই সঠিক নয়। ব্যাপারটি বরং উল্টোই। তাই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস যদি করতে পারেন, তাহলে টাকাও কম খরচ হবে, আবার আপনি শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টিও পাবেন। তবে সেক্ষেত্রে দরকার একটু পরিকল্পনা। আজ বিবিএস বাংলার পাঠকদের জন্য থাকছে কিভাবে একটু সচেতন হলে, পরিকল্পনা করে চললে আপনি কম খরচেও স্বাস্থ্যকর খাবার মেইনটেইন করতে পারবেন।

মৌসুমি খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন

বাছ-বিচার না করে মৌসুমি ফল, শাক-সবজি খায়ার অভ্যাস করুন। যে ঋতুতে যেমন ফল ও শাক-সবজি পাবেন সেগুলোই খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। কারণ মৌসুমী ফল বা শাক-সবজির দাম তুলনামূলক কম থাকে। শীতকালে আম-জাম, কাঁঠালের খোঁজ না করে বরং কমলা, পেয়ারা বা আপেল খান। এগুলোর দাম একটু হলেও কম হবে এসময়। অন্যদিকে স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে। শীতের সবজি যেমন- ফুলকপি, পাতাকপি, ব্রোকলি, শালগম, টমেটো, পালং শাক এগুলো খাওয়ার চেষ্টা করুন। এগুলো এসময় সস্থায় পাবেন।

বড় কথা, আপনার অঞ্চলে যে ফল-সবজি পাওয়া সহজ সেগুলি কিনলে  খরচ কম হবে। বিদেশি ডায়েট দেখে সেই অনুযায়ী অ্যাভোকাডো বা ড্রাগন ফলের খোঁজ না করাই ভাল। স্থানীয় ফল, শাক-সবজিতেও একই গুণ পেয়ে যাবেন।

বাড়িতে নিজে রান্না করার চেয়ে কম খরচে খাওয়াদাওয়া করা অসম্ভব। নিজে রান্না করলে তেল-মশলা-লবন সব মেপে দিতে পারবেন। ফলে খাবার অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর হবে। বাইরে থেকে কিনে খেলে যে খরচ পড়বে, বাজার থেকে মাছ কিনে নিজে রান্না করলে, গ্যাসের খরচ ধরেও সেই তুলনায় আপনার কম টাকা খরচ হবে।

ছাড়ের সময় বেশি করে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে রাখুন   

যখন দোকানে বা ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ছাড় চলবে, সেই সময়ে বেশি করে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে রাখুন। তবে দুগ্ধজাত খাবার, ডিম, শাক-সব্জি, মাছ-মাংস বা ডিম একসঙ্গে খুব বেশি কিনবেন না। খারাপ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু চাল, ডাল, তেল, ড্রাই ফ্রুট, মুরি, মশলা, চিনি, লবনের মতো জিনিস কিনে রাখতে পারেন।

খাবার নষ্ট করবেন না

অনেক খাবার আছে যেগুলোর অবশিষ্টাংশ খাওয়া যায়। এই ধরনের অংশ ভালো করে ধুয়ে স্টক বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। প্রয়োজনে স্যুপ বানিয়ে নিতে পারবেন। ধনেপাতা শুকিয়ে যাচ্ছে? ব্লেন্ডারে চাটনি বানিয়ে ফেলুন কিংবা ফ্রিজারে জমিয়ে রূপচর্চার কাজে লাগান।  ফল বেশি দিন চালাতে কেটে জমিয়ে রাখুন। পরে স্মুদি বানিয়ে নিন। ঠিক করে শাক-সবজি  ফ্রিজে রাখতে পারলে অনেক দিন টাটকা থাকবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply