বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন আমাদের জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে। এই স্মার্টফোন ছাড়া আমরা এক মুহূর্তও কাটাতে পারি না। খেতে, ঘুমাতে এমনকি ওয়াশরুমেও আমাদের এই ডিভাইসটি সঙ্গে না থাকলে ভালো লাগে না।
তবে ডিভাইসটির যত্ন না নিলে কিন্তু তা অল্পতেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। অথবা আস্তে আস্তে তার কার্যকারিতাও কমে যেতে পারে। তাই একটু সাবধানতা অবলম্বন করলে দীর্ঘদিন ধরে কোনো ঝামেলা ছাড়াই আরামে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। এজন্য এই ১০ টিপস ফলো করুন।
প্লাগ ইন
বেশির ভাগ মানুষের অভিযোগ, মোবাইল ফোনের চার্জার খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। এর মূল কারণ আসলে আপনি নিজেই। কেননা ফোন চার্জে দেওয়ার সময় পোর্টে বার বার ঘষা লাগলে চার্জার দ্রুত নষ্ট হয়। তাই প্লাগ ইন করার সময় তাড়াহুড়া করা যাবে না। এছাড়া রাতভর ফোন চার্জে রাখা যাবে না। আর চার্জ শেষ হলে আপনি দ্রুত পোর্ট থেকে চার্জারটি খুলে রাখুন।
ঘুমানোর সময় ফোন
অধিকাংশ মানুষের অভ্যাস, ঘুমানোর সময় ডিভাইসটি মাথার কাছে নিয়ে ঘুমানো। এ অভ্যাস ছেড়ে দেওয়া উচিত। কেননা, স্মার্টফোন হচ্ছে ছোট আকারের একটি ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ট্রান্সমিটার ও রিসিভার। এজন্য তা থেকে রেডিও ওয়েভ নির্গত হয়। যা মানুষের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
সফটওয়্যার আপডেট
আপনি যে ডিভাইসটি ব্যবহার করছেন, সেখানে আসলে নানা ধরনের নোটিফিকেশন আসে। মাঝে মাঝে ফোন আপডেট করারও নোটিফিকেশন আসে। কিন্তু এটি এড়িয়ে যাওয়া একদম উচিত নয়। কেননা, আপডেটের ফলে অনেক নতুন ফিচারের দেখা মেলে। জায়গা দখল করলেও তাই ফোনের সিস্টেম সবসময় আপডেট করা উচিত।
বজ্রপাতের সময় ফোন চার্জ
আকাশে বজ্রপাতের সময় কখনোই মোবাইল ফোন চার্জে রাখা উচিত নয়। কারণ, বজ্রপাত হলে পাওয়ার কর্ড দিয়ে বিদ্যুৎ ফোনে ঢুকতে পারে। এসময় যদি ফোন চার্জে থাকে, তাহলে সাথে সাথে তা চার্জ থেকে খুলে ফেলা উচিত।
ভাইব্রেশন
মোবাইল ফোন যদি সবসময় চার্জে থাকে, তাহলে এর ব্যাটারি খুব তাড়াতাড়ি খরচ হয়। আর ফোনের চার্জও দ্রুত ফুরিয়ে যায়। এজন্য দরকার হলে ফোন সাইলেন্ট করে রাখা উচিত, তবু ভাইব্রেশন মুডে নয়। দরকার হলে রিংটোনের ভলিউম কমিয়ে রাখুন।
লো সিগনাল
সিগনাল দুর্বল থাকলে ফোন থেকে রেডিও ওয়েব বেশি নির্গত হয়। এ কারণে ফোন গরমও বেশি হয়। এ সময় তাই হেডফোন ব্যবহার করা ভালো।
সূর্যের আলো
মানুষের শরীরের জন্য সূর্যের আলো উপকারি হলেও মোবাইলের জন্য কিন্তু তা মোটেও উপকারি নয়। অনেকক্ষণ ধরে ডিভাইস রোদে থাকলে তা গরম হয়ে যায়। আর তখন ফোনের সার্কিট বোর্ড গলে যাওয়া, স্ক্রিন ফেটে যাওয়া বা ব্যাটারি বিস্ফোরণের মতো ঘটনাও ঘটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
ত্বকের সংস্পর্শ
মোবাইলে কথা বলার সময় সেটি আমাদের ত্বকের সংস্পর্শে আসে এবং গরম হতে শুরু করে। যার কিছু অংশ আমাদের শরীরও গ্রহণ করে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর রশ্মিও বের হয় ফোন থেকে। যা আমাদের দেহে প্রবেশ করে। এজন্য মোবাইল ফোন সরাসরি কানে না ধরে হেডফোন বা স্পিকার ফোন ব্যবহার করা উচিত।
পেছনের পকেটে ফোন
অনেকেই নিজের প্যান্টের পেছনের পকেটে মোবাইল ফোন রাখেন। সেটা করা উচিত নয়। কেননা অনেক সময়ই পকেট থেকে ফোন পড়ে যাওয়া, ফোনের ওপর বসে পড়া বা পকেট থেকে ফোন চুরির ঘটনা ঘটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
ঘাড় ব্যথা
অনেক সময় ফোনের দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকলে মাথা ব্যথা শুরু হয়। এছাড়া ঘাড় বাঁকা করেও ফোন ব্যবহার করার অভ্যাস অনেকেরই। এ সমস্যা এড়াতে চোখ বরাবর ফোন ধরা উচিত। এতে ঘাড়ের উপর চাপ পরবে না।