fbpx

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে স্কাউট প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য স্কাউট প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তাহলেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার উপযুক্ত নাগরিক তৈরি হবে।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে গাজীপুরের মৌচাকে ৩২তম এশিয়া প্যাসিফিক ও একাদশ জাতীয় স্কাউট জাম্বুরির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব আর সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমি চাই, আমাদের প্রত্যেক শিক্ষার্থী, শুধু বাছা বাছা কয়েকজন না, প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে যে পর্যন্ত স্কাউট করা যায়; এখন যদিও আমাদের ২২ লাখ সদস্য আছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ লাখ স্কাউট করা হবে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি শিক্ষার্থী যেন স্কাউট প্রশিক্ষণ পায়। তাহলে আমি বিশ্বাস করি, আমার দেশ সোনার বাংলা গড়ার বা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার উপযুক্ত নাগরিক তৈরি হবে।’

‘আমি আশা করি, বাংলাদেশে একদিন বিশ্ব স্কাউট জাম্বুরি অনুষ্ঠিত করতে পারবো। সেভাবে আমাদের এখন থেকে উদ্যোগ নিতে হবে,’ বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশ দেখে আমাদের যে ধারণা, এক সময় বাংলাদেশ কিন্তু এটা ছিল না। ক্ষুধা, দারিদ্র্য নিত্যসঙ্গী ছিল। আমাদের প্রচেষ্টা হচ্ছে, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা। আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ।’

প্রতিটি ক্ষেত্রে স্মার্ট জনগোষ্ঠী গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আজকে যতদূর এগিয়েছে, ভবিষ্যতে আমাদের আজকের শিশু-কিশোর-তরুণ বাংলাদেশকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে স্কাউট প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী

স্কাউট সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমার ভরসা আছে, তোমরা তা পারবে। কারণ আমি দেখেছি, দুর্যোগ-দুর্বিপাকে যেভাবে তোমরা মানুষের পাশে দাঁড়াও; মানবতার সেবাই তো বড় সেবা। মানুষের জন্য কাজ করতে পারলে সব থেকে আত্মতুষ্টি পাওয়া যায়। আমি সেটাই চাই, তোমরা সেভাবে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হও। মনে রাখবে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। আমাদের লাল-সবুজ পতাকা লাখো মানুষের রক্তের চিহ্ন বয়ে বেড়ায়। দীর্ঘ সংগ্রামের পথ বেয়ে আমাদের এই স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতা যেন ব্যর্থ হতে না পারে। স্বাধীনতার সুফল মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।’

শেখ রাসেলকে স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ছোট্ট সোনামণিরা, যখনই আমি তোমাদের মাঝে আসি তখনই আমার মনে পড়ে আমার ছোট্ট শিশু ভাইটি মাত্র ১০ বছরে ঘাতকের নির্মম বুলেট যাকে আমাদের মাঝ থেকে কেড়ে নিয়ে গেছে। তোমাদের মাঝে আমি খুঁজে ফিরি আমার ছোট্ট ১০ বছরের ভাই রাসেলকে।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply