সাভারে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ার ভয়ে গার্মেন্টস কর্মীর আট বছরের শিশু সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে প্রতিবেশী যুবক।
হত্যাকারী রিপন মিয়ার কথা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আশুলিয়ার বুড়িবাজার এলাকায় ওই বাসিন্দার ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় শিশু সাজ্জাদের মরদেহ।
এ ঘটনায় নিহত শিশু সাজ্জাতের বাবা ইউসুফ হোসেন বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল আমিন জানান, ‘মালামাল ও টাকা চুরির উদ্দেশ্যেই গার্মেন্টস কর্মী ইউসুফের বাসায় ঢোকেন রিপন মিয়া (৩৫)। ইউসুফ ও তার স্ত্রী খাদিজা বেগম দুজনেই গার্মেন্টস এ চাকরি করার কারণে বাসায় ছিল তাদের একমাত্র সন্তান সাজ্জাদ। চুরির কথা ফাঁস হয়ে যাবার ভয়ে শিশুটিকে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে রিপন।‘
ইউসুফের বাসার বাথরুমের ফলস ছাদে শিশু সাজ্জাদের মরদেহ কম্বল দিয়ে মুড়িয়ে লুকিয়ে রেখে পালিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছে রিপন। পরবর্তীতে তার কথা অনুযায়ী শিশুটির লাশ উদ্ধার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
অভিযুক্ত রিপন মিয়া একজন গার্মেন্টস কর্মী ছিলেন, বর্তমানে বেকার অবস্থায় ঘুরে বেড়াতো বলে জানায় প্রতিবেশীরা।
নিহত সাজ্জাতদের বাড়ি ভোলা জেলার সদর থানায়। বাবা-মায়ের সাথে সাভারে একটি ভাড়া বাসায় বাস করতো সে।