রং তুলি, আঁকা আঁকি দিয়ে শুরু, তারপর মেঘে মেঘে অনেকটা পথ ‘মেঘদল’। সে পথে বিরতি দিয়ে নিজেকে নাট্য নির্মাতা হিসেবেই পরিচিত করে তোলেন মেজবাউর রহমান সুমন। তবে নাটকেও খুব বেশি সময় নিজেকে আটকে রাখেননি। দাঁড়ি টেনে ডুব দিয়েছেন বিজ্ঞাপনের ময়দানে। সেখান থেকে উঠে এসে গভীর সমুদ্রে গিয়ে নির্মাণ করলেন নিজের প্রথম চলচ্চিত্র ‘হাওয়া’।
শুরু থেকেই ছবিটি নিয়ে শোবিজ পাড়ার লোকজনের বেশ আগ্রহ দেখা যায়। করোনা মহামারির কারণে সেই আগ্রহে কিছুটা ভাটা পড়লেও আবার নতুন করে ছবিটি নিয়ে কথা বলা শুরু হয় ১ এপ্রিল থেকে। কারণ এই তারিখেই নির্মাতা তার প্রথম ছবির পোস্টার প্রকাশ করেন। পোস্টারটি ডিজাইন করেছেন সব্যসাচী মিস্ত্রী।
সুমন পোস্টারটি শেয়ার করে লিখেন, ’তোমরা হয়তো দেখতে পাও অথবা শুনতে, আর আমি বলছি চোখ বন্ধ কর
কানটাকেও রেখোনা সজাগ, সম্পর্কের ভিতরে যেতে আরেকটু নিবিড় হও , নিঃশ্বাসে ভরে নাও হাওয়া…’
পোস্টার প্রকাশের পরপরই শুভেচ্ছা আর শুভকামনায় ভাসছেন মেঘদলের সুমন। ছবির কলাকুশলীরা পোস্টার শেয়ার করে নিজেদের উচ্ছ্বাস আর অভিজ্ঞতার কাথাও শেয়ার করছেন কেউ কেউ।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অতল সমুদ্রে গন্তব্যহীন একটি ফিশিং ট্রলারে আটকে পড়া আটজন মাঝি মাল্লা এবং এক রহস্যময় বেদেনীকে ঘিরে চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে। নির্মাতার বরাতে জানা গেছে, হাওয়া চলচ্চিত্রটি মূলত একালের রূপকথা, বহুল প্রচলিত এই ফর্মটি সিনেমার পর্দায় নতুন আঙ্গিকে দেখতে পাবেন দর্শকেরা।
মেজবাউর রহমান সুমনের কাহিনী এবং সংলাপে চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য লিখেছেন জাহিন ফারুক আমিন, সুকর্ণ সাহেদ ধীমান ও মেজবাউর রহমান সুমন।
এতে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুষি, শরীফুল ইসলাম রাজ, সুমন আনোয়ার, সোহেল মণ্ডল, নাসির উদ্দিন খান, রিজভী রিজু, মাহমুদ আলম এবং বাবলু বোস। চলচ্চিত্রটির চিত্রগ্রহণ করেছেন কামরুল হাসান খসরু, সম্পাদনা সজল অলক, আবহ সঙ্গীত রাশিদ শরীফ শোয়েব, এবং গানের সঙ্গীতায়োজন করেছেন ইমন চৌধুরী।
চলচ্চিত্রটির নির্মাণ সংস্থা ফেইসকার্ড প্রোডাকশন এবং প্রযোজনা সংস্থা সান মিউজিক এন্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেডের সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে চলচ্চিত্রটির নির্মাণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং শিগগিরই সেন্সরে জমা পড়তে যাচ্ছে। কোভিডের পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিনেমাহলে মুক্তির দিনক্ষণ অচিরেই জানানো হবে।
২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে নভেম্বরে ছবিটির শুটিং হয় গভীর সমুদ্রে।