মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ১৩২ রানে হারিয়েছ ইংল্যান্ড। যার ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ২-১ এ সিরিজ জিতল ইংল্যান্ড।
এর আগে, ঘরের মাটিতে ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ। অর্থাৎ, এই সিরিজের আগেই দেশের মাটিতে শুধুমাত্র ইংলিশদের বিপক্ষে সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ। সেবার বাংলাদেশের কোচ ছিলেন হাথুরু। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব ছাড়ার পর আবারও ২০২৩ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে কোচ হয়েছেন হাথুরু। এবারও সিরিজ হারলো বাংলাদেশ।
মিরপুরে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ।দুই স্পিনার দিয়ে বোলিং শুরু করান অধিনায়ক তামিম ইকবাল। প্রথম চার ওভারে বোলিং করেন সাকিব আল হাসান এবং তাইজুল ইসলাম। তারা দুইজনে মিলে দেন ১৬ রান। বল টার্ন করতে থাকলেও স্পিনাররা কোনো উইকেট না পাওয়ায় পেসার তাসকিন আহমেদের হাতে বল তুলে দেয়া হয়।
এরপর অধিনায়কের ভরসার প্রতিদান দেন তিনি, নিজের দ্বিতীয় ওভারেই তুলে নেন ইংলিশ ব্যাটার ফিল সল্টের উইকেট। ১ চারের বিনিময়ে সল্ট করেন ১৫ বলে ৭ রান। এরপর ব্যাট করতে নামেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ন দাউইদ মালান। আরেক ওপেনার জেসন রয়কে নিয়ে পাওয়ারপ্লের বাকি সময়টুকুতে তিনি খেলতে থাকেন দেখেশুনেই। যার ফলে সেই সময় আর কোনো উইকেট হারায়নি ইংলিশরা।
দলীয় ৮৩ এবং ৯৬ রানের মধ্যে ইংল্যান্ডের দুই উইকেট ফেললেও রয় এবং বাটলারের আগ্রসী ব্যাটিংয় যেন বদলেই দিয়েছে পুরো ম্যাচের দৃশ্যপট। রয়ে ইতোমধ্যে তুলে নিয়েছেন নিজের সেঞ্চুরি। একশোর পর যেন আরও ভয়ংকর ইংল্যান্ডের এই ব্যাটার।
তবে তার চেয়ে কোনো অংশে কম যাচ্ছিলেন না ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার। দলীয় ২০৫ রানে সাকিবের বলে রয় আউট হলেও ৬৪ বলে ৭৬ করে টাইগার বোলিং লাইনআপ তুলোধুনো করে বাটলার। দলের স্কোর যখন ২৬০ রান, তখন আউট হন বাটলার। এরপর শেষের দিকে মঈন আলীর ৩৫ বলে ৪২ এবং স্যাম কারানের ১৯ বলে ৩৩ রানের উপর ভিত্তি করে ৩২৬ রানের বিশাল পুঁজি পায় ইংল্যান্ড।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন পেসার তাসকিন আহমেদ।৩২৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয় পড়ে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই স্যাম কারেনের তুলে নেন লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেট। এর পর ব্যাট করতে নামা মুশফিকুর রহিমও টিকতে পারেননি বেশিক্ষন। তাকেও আউট করেন কারান।দলীয় ৯ রানে ব্যক্তিগত ৪ রান করে কারেনের বলে আউট হন তিনি।৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়লে ব্যাট করতে নামেন সাকিব আল হাসান। তামিম ইকবালের সাথে দলের হাল ধরেন তিনি।
৯ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে যখন ব্যাকফুটে বাংলাদেশ, তখনই শঙ্কা দেখা দেয়, সাথে জাগে প্রশ্নও, আরেকটি লজ্জার মধ্যে পড়তে যাচ্ছে না তো বাংলাদেশ? না তা পড়তে হয়নি।কিছুটা ধীর গতিতে রান তুললেও এখন পর্যন্ত সাকিব-তামিমের ব্যাটে জয়ের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ।
তাদের দুইজনের জুটি গড়ায় ৭৯ রানে। দলীয় ৮৮ রানে তামিম আউট হলে আবারও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। তবে এখন পর্যন্ত উইকেটে আছেন সাকিব। এছাড়াও তার সঙ্গ দিচ্ছিলেন অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে ১২২ রানে সাকিব আউট হলে কেউই উইকেটে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। যার ফলে ১৩২ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইংল্যান্ড।ইংলিশদের হয়ে স্যাম কারান এবং আদিল রশিদ নিয়েছেন ৪টি করে উইকেট।