ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মরদেহ রবিবার দেশে আসছে না।
রোমানিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দাউদ আলী বিষয়টি গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ভারী তুষারপাতের কারণে ইস্তাম্বুল থেকে ঢাকাগামী হাদিসুরের মরদেহবাহী ফ্লাইটটি বাতিল করা হয়েছে। আরেকটি ফ্লাইটে হাদিসুরের মরদেহ সোমবার পাঠানো হবে।’
এর আগে গতকাল শনিবার রাতে গণমাধ্যমকে রোমানিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী বলেন, ‘রোমানিয়া সময় রাত পৌনে ১০টায় নাবিক হাদিসুরের মরদেহ টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি কার্গো ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করেছে। বাংলাদেশ সময় ২টায় হাদিসুরের মরদেহ ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।’
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সাধারণ সম্পাদক মো. সাখাওয়াত হোসাইন জানান, গত শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় হাদিসুরের মৃতদেহ ইউক্রেন সীমান্ত পার হয়ে মালদোভায় পৌঁছেছে। সেখানে ইমিগ্রেশন শেষে মালদোভায় বাংলাদেশের রোমানিয়া কনসালটেন্ট মৃতদেহটি গ্রহণ করেছেন। সেখান থেকে মরদেহবাহী গাড়িটি শনিবার সকালে রোমানিয়ায় পৌঁছায়।
গত ২ মার্চ ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকে থাকা ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ হামলার শিকার হয়। এতে নিহত হন নাবিক হাদিসুর। পরদিন ৩ মার্চ জাহাজটি থেকে জীবিত ২৮ নাবিক ও নিহত হাদিসুরের মরদেহ নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়। এরপর ওই ২৮ নাবিককে ইউক্রেন থেকে মালদোভা হয়ে রোমানিয়ায় নিয়ে যায় সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাস।
গত ৯ মার্চ টার্কিশ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে রোমানিয়া থেকে ইস্তানবুল-দুবাই হয়ে ঢাকায় পৌঁছান ওই ২৮ নাবিক। রোমানিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে দেশে ফেরত আনা হয়।