fbpx

হার দিয়েই শুরু বাংলাদেশের

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

শারজায় এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়া বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ১২৭ রান তুলতে সমর্থ হয়েছে। ১২৮ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে আফগানরা। টানা দ্বিতীয় হয়ে সুপার ফোর রাউন্ড উন্নীত হলো মোহাম্মদ নবীর দল।

স্পিনই শক্তি আফগানদের। তবে প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকাকে কুপোকাত করে তারা পেস দিয়ে। বাংলাদেশ তাই সমীহ করছিল পেসার ফজলহক ফারুকিকে। যদিও সাকিব আল হাসানরা ডুবলেন সেই স্পিনেই। ১৩ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। এরপর অফস্পিন-লেগস্পিনের সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে একশ পার হওয়াই কঠিন চ্যালেঞ্জের ছিল বাংলাদেশের জন্য। বিপদের মধ্যে লড়াই করে দলকে ১২৭ রানের পুঁজি এনে দেন মোসাদ্দেক হোসেন ও মাহমুদউল্লাহ। মোসাদ্দেক ৩১ বলে ৪৮ আর মাহমুদউল্লাহ ২৭ বলে ২৫ রান করেন। ডানহাতি অফস্পিনার মুজিব উর রহমান ও লেগস্পিনার রশিদ খান উভয়ই তিনটি করে উইকেট নেন।

৫৩ রানে পঞ্চম উইকেট পতনের পর ব্যাটিংয়ে নামা মোসাদ্দেক ষষ্ঠ উইকেটে মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে ৩৬ রানের জুটি গড়ার পর মেহেদী হাসানকে নিয়ে আরো ৩৮ রান বোর্ডে যোগ করেন।

তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে শততম টি২০ ম্যাচ খেললেন সাকিব। এর আগে মাহমুদউল্লাহ (১১৯ ম্যাচ) ও মুশফিকুর রহিম (১০০) বাংলাদেশের হয়ে একশ টি২০ ম্যাচ খেলার গৌরবের অধিকারী হয়েছেন। মাহমুদউল্লাহ ২৩.৫২ গড়ে ২ হাজার ৭০ রান করেছেন, উইকেট নিয়েছেন ৩৮টি। আর মুশফিক ১৯.৯৩ গড়ে করেছেন ১ হাজার ৪৯৫ রান।

টি২০ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ ১৩৩ ম্যাচ খেলেছেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা, যিনি সর্বোচ্চ রানেরও মালিক। ৩২.১০ গড়ে ৩ হাজার ৪৯৯ রান করেছেন রোহিত। এছাড়া শোয়েব মালিক ১২৪ ম্যাচ ও মার্টিন গাপটিল ১২১ ম্যাচ খেলেছেন। এরপরেই মাহমুদউল্লাহ।

বিস্ময়কর হলেও সত্য, তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশের হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলেছেন সাকিব! টেস্টে তৃতীয় সর্বোচ্চ টেস্ট (৬৩টি) এবং ওয়ানডেতে তৃতীয় সর্বোচ্চ (২২১টি) খেলেছেন সাকিব। টেস্টে সর্বোচ্চ ৮২ ম্যাচ খেলেছেন মুশফিকুর রহিম, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৯ ম্যাচ খেলেছেন তামিম ইকবাল। ওয়ানডেতেও সাকিবের উপরে ওই দুজন। মুশফিক খেলেছেন ২৩৬ ম্যাচ, আর তামিম ২৩১ ম্যাচ।

Advertisement
Share.

Leave A Reply