fbpx

১০দিনব্যাপী সুরক্ষা ক্যাম্প: ৫ লক্ষ মাস্ক বিতরণ করবে ডিএনসিসি

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

করোনা সংক্রমণ প্রতিদিন বাড়ছে হাজারেরও বেশি সংখ্যায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বুধবার একদিনে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৯ হাজার ৫০০ জনের দেহে। যা গত পাঁচ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শনাক্তের সংখ্যা।

করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের একমাত্র উপায় মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। সেটি নিশ্চিত করতে এবং জনসচেতনতা বাড়াতে ১০ দিনব্যাপী প্রচারণা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।

আগামী ২২ জানুয়ারী থেকে ৩১ জানুয়ারী পর্যন্ত ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে ৭২ জন কাউন্সিলর প্রতিদিন জনবহুল এলাকায় মাস্ক বিতরণ করবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে প্রচারণা চালাবে। ১০ দিনব্যাপী এই ক্যাম্পেইনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মাস্ক আমার, সুরক্ষা আমার।‘

২০ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার সকালে ভার্চুয়াল এক বৈঠকে ক্যাম্পেইন বিষয়ে নির্দেশনা দেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। ১০ দিনের ক্যাম্পেইনে ৫ লক্ষ মাস্ক বিতরণ করার কথাও জানানো হয়।

বৈঠকে মেয়র বলেন, ‘শপিংমল, বাসস্ট্যান্ড ও কাঁচাবাজারসহ জনসমাগমস্থলে মাস্ক বিতরণ করে জনগনকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে প্রচারণা চালাবেন ওয়ার্ড কাউন্সিলররা। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় জনসচেতনতামূলক মাইকিং করবে ওয়ার্ড কাউন্সিলররা। প্রতি শুক্রবার জুমআর নামাজে আগত মুসল্লীদের মাঝে মাস্ক বিতরণ এবং জনস্বার্থে জারিকৃত সরকারী নির্দেশনাসমূহ মসজিদের মাইকের মাধ্যমেও প্রচার করা হবে।

এর আগে করোনা সংক্রমণ যখনই বেড়েছে, তখনই বিভিন্ন স্বাস্থ্য সুরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে জানিয়ে উত্তরের মেয়র বলেন, ‘ডিএনসিসি এলাকায় এখন পর্যন্ত আমরা ২১ লক্ষ ১৬ হাজার মাস্ক বিতরণ করেছি। ১ লক্ষ ৩৩ হাজার ৭৫০ বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ৫০ হাজার তিনস্থর বিশিষ্ট কাপড়ের মাস্ক, ২০০০ বোতল লিকুইড হ্যান্ডওয়াশ এবং ২ লক্ষ ৪০ হাজার সাবান বিতরণ করা হয়েছিল। বস্তি এলাকায় বিতরণ করা হয়েছিল ২ লক্ষ ৫০ হাজার সাবান।‘

করোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রেও ডিএনসিসির উদ্যোগ সম্পর্কে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ডিএনসিসির মহাখালী মার্কেটকে ১ হাজার শয্যাবিশিষ্ট ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়েছে। এটি বর্তমানে দেশের সর্ববৃহৎ করোনা হাসপাতাল। এই হাসপাতালে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে।‘

Advertisement
Share.

Leave A Reply