fbpx

১৪৮ রানে অলআউট উইন্ডিজ!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

উইন্ডিজ এই দলটার সামর্থ্য-শক্তি অনেকটাই অনুমান হয়েছিল আগেই। মাঠের পারফরমেন্সে সেটা প্রমাণিত হলো দুই ওয়ানডের ব্যাটিং দেখেই। শুক্রবারের ম্যাচে একসময় মনে হয়েছিল আগের ম্যাচের রানটাও করতে পারবে না উইন্ডিজরা। শতরান তোলার আগেই ৮ উইকেট হারিয়ে সেই শঙ্কাও তৈরী করেছিলো ক্যারিবিয়ানরা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য দেড়শো ছুঁই রান করতে পেরেছে সফরকারীরা।

বলা যায় দিনের শুরুটাই তাদের হয়েছিলো ভুল সিদ্ধান্তে। কুয়াশা ঢাকা মিরপুরের উইকেট না বুঝেই টস জিতে ব্যাটিং নেয় উইন্ডিজ। যার মাশুল দিতে হয়েছে ব্যাটসম্যানদের। প্রথম ওয়ানডের মতো এই ম্যাচেও মোস্তাফিজের ব্রেক থ্রু। ওপেনার সুনিল অ্যাম্ব্রিসকে ৬ রানেই বিদায় করেন। মেহেদী মিরাজকে ক্যাচ দেন এই ক্যারিবিয়ান।

এরপর মিরাজের স্পিন ভেল্কি। জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে পাওয়ার প্লেতেই উইন্ডিজের পাওয়ার শেষ করেছেন মিরাজ। নিজের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই শিকার করেন ওটলিকে। চতুর্থ বলে বোল্ড করেন জশুয়া সিলভাকে। বোলিংয়ে সাকিব এসেই ঝলক দেখালেন। নিজের প্রথম ওভারের শেষ বলে উইকেট নেন।  ১৫ ওভার শেষে উইন্ডিজের স্কোর চার উইকেটে ৩৯ রান।

পাওয়ার শেষ হওয়া ব্যাটিংয়ে আর রিচার্জ করতে পারেনি পরের ব্যাটসম্যানরা। শতরান তুলতেই হিমশিম খেয়েছেন ক্যারিবিয়ানরা। প্রথম ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান করা কাইল মেয়ার্স শূন্যতেই  বিদায় নিয়েছেন রান আউটে। উইন্ডিজরা আরো বিপদে পড়ে মেয়ার্সকে হারিয়ে। অধিনায়ক জেসন মোহাম্মদ এবং এনক্রুমা বনার থিতু হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সাকিবের ঘূর্ণিতে জুটি ভাঙ্গে। ১১ রানে আউট হন জেসন। আর বনারকে থামান পেসার হাসান মাহমুদ। উইকেট তুলে নেয়ায় সাকিবের সাথে মধুর লড়াই হয়েছিলো মিরাজের। ৮ নম্বার উইকেট তুলে নিয়ে মিরাজের জমা ৩টা।

নবম উইকেটে আলজারি জোসেফকে নিয়ে রোভম্যান পাওয়েল ইনিংস সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ গড়েন। এই জুটি জমা করে ৩৭ রান। তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করেন মোস্তাফিজ। ১৭ রানে আউট জোসেফ। আগের ম্যাচে সাকিবের আলোতে ঢাকা পড়েছিলেন মিরাজ। এবার ইনিংস শেষে ঝলমলে হয়ে থাকলেন। পাওয়েলকে ৪১ রানে থামিয়ে উইন্ডিজকে দেড়শো করতে দেননি এই স্পিনার। তখনও বাকি ছিল ৬ ওভার দুই বল। মিরাজ ২৫ রান দিয়ে নিয়েছেন চার উইকেট।

Advertisement
Share.

Leave A Reply