fbpx

১০ অক্টোবর পারমাণবিক চুল্লি বসছে রূপপুরে

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ এগোচ্ছে দ্রুতগতিতে। পারমাণবিক চুল্লি বা নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর প্রেশার ভেসেল বসছে আগামী ১০ অক্টোবর। পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের হৃৎপিণ্ডও বলা হয় এটিকে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্র থেকে জানা গেছে, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ প্রকল্পের ঠিকাদার রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি রোসাটমের অন্যতম প্রধান নির্বাহী এলেক্সে লিখাচেভও এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।

গত বছরের অক্টোবরে রূপপুর কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের জন্য রিঅ্যাক্টর প্রেশার ভেসেলটি রাশিয়া থেকে জলপথে ১৪ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে দেশে পৌঁছায়। আর তা স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন অবকাঠামো প্রস্তুত করতে সময় লাগে এক বছর।

পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো রিঅ্যাক্টর প্রেশার ভেসেল, যেখানে থাকে মূল জ্বালানি।

প্রকল্পের ঠিকাদার রোসাটম জানায়, পারমাণবিক চুল্লির পাত্রটির ওজন ৩৩৩ দশমিক ৬ টন। এই চুল্লি কৃষ্ণ সাগর এবং সুয়েজ ক্যানেল হয়ে মোংলায় এসে পৌঁছেছে। সেখান থেকে নৌপথে পাবনার রূপপুরে নেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম পর্যায়ের কাজের উদ্বোধন করেন। এরপর ধাপে ধাপে প্রকল্পটি এখন আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান সংবাদমাধ্যমকে জানান, এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দেশে পরিচ্ছন্ন জ্বালানির (ক্লিন এনার্জি) মডেল হিসেবে বিবেচিত হবে। যা থেকে দীর্ঘমেয়াদে পাওয়া যাবে সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য ও মানসম্মত বিদ্যুৎ।

রূপপুরে স্থাপিত হবে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ‘ভিভিইআর-১২০০’ রিঅ্যাক্টর। মানবসৃষ্ট দুর্ঘটনা এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয় যেমন শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প, বন্যা ইত্যাদি মোকাবেলায় সক্ষম এই রিঅ্যাক্টরগুলোর কার্যকাল ৬০ বছর, যা প্রয়োজনে আরও ২০ বছর চালানো যাবে। ভিভিইআর টাইপ রিঅ্যাক্টরে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য থাকবে।

এককভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প এটি। যাতে ব্যয় হচ্ছে এক লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি টাকা। যার মধ্যে ৯১ হাজার ৪০ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে রাশিয়া। আর বাকিটা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।

পাবনা জেলার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দু’টি ইউনিট থেকে উৎপাদিত হবে মোট দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। তারমধ্যে, ২০২৩ সালে প্রথম ইউনিট থেকে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট এবং ২০২৪ সালে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে সমপরিমাণ বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply