দেশে এক দশকে স্টার্টআপ খাতে সাড়ে ৭’শ মিলিয়ন ডলারের বেশি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বুধবার দুপুরে আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি মিলনায়তনে এ কথা বলেন তিনি। আইসিটি বিভাগের স্টার্টআপ বাংলাদেশে লিমিটেডের উদ্যোগে “শতবর্ষে শত আশা” ক্যাম্পেইনের আওতায় দ্বিতীয় ধাপে স্টার্টআপদের বিনিয়োগ সহযোগিতা প্রদান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি।
দেশে বর্তমানে প্রায় ২২ হাজার ৫শত স্টার্টআপ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ’সরকার স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড, বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ড (বিগ) এর আইডিয়া প্রকল্প মাধ্যমে স্টার্টআপগুলোকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তীকে স্মরণীয় করে রাখতে আইসিটি বিভাগ “শতবর্ষের শত আশা” উদ্যোগ গ্রহণ করে। এ উদ্যোগের লক্ষ্য হচ্ছে ৫০টি স্টার্টআপে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ ও দেশে উদ্যোক্তা সংস্কৃতি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। এরই অংশ হিসেবে আজ ২য় ধাপে ৮টি স্টার্টআপকে ১৭ কোটি টাকা মূলধন সহযোগিতা প্রদানের লক্ষে বিনিয়োগ চুক্তি হয়েছে।
‘শতবর্ষে শত আশা’ ক্যাম্পেইন বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই উদ্যোগ দেশে একটি জাতীয় উদ্যোক্তা প্লাটফর্ম তৈরি করবে এবং নতুন নতুন উদ্ভাবন বাস্তবায়নে গতি সঞ্চালন করবে।
তিনি আরও বলেন, এর ফলে সম্ভাবনাময় কোনো উদ্যোগই আর ঝড়ে পড়বে না ও উদ্যোগ বাস্তবায়নের আর্থিক সঙ্কট ঘুচবে এবং নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
পলক বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলায় ৫৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব, ফোরথ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভোল্যুশন সেন্টার, ৪৯৪টি উপজেলায় জয় ডিজিটাল সার্ভিস সেন্টার, ৩০০ স্কুল অব ফিউচার, শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। তরুণ প্রজন্মের উদ্যোক্তারাই ভবিষ্যত একটি জ্ঞানভিত্তিক, অর্থনীতিক ও উদ্ভাবনী বাংলাদেশ গড়ে তুলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, বিনিয়োগকারী হিসেবে স্টার্টআপ বাংলাদেশ ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামী আহমেদ এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সিইও গণ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। প্রতিষ্ঠানসমূহ হচ্ছে- হ্যালো টাস্ক, ১০ মিনিটস স্কুল, আই ফারমার, ফ্রন্টিয়ার নিউট্রেশন, লুপ, যান্ত্রিক, সাটেল এবং ট্রাক লাগবে। প্রথম ধাপে ৭টি স্টার্টআপকে ১৭ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে।
