fbpx

১০ বছর পর ঢাকায় আসছেন হিনা রাব্বানি  

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ডি-৮–এর মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খার। ১০ বছর পর এটিই হবে পাকিস্তানের মন্ত্রিপরিষদের কোনো সদস্যের প্রথম ঢাকা সফর। এর আগে ২০১২ সালে হিনা রাব্বানি খার ঢাকায় এসেছিলেন। সে সময় ইসলামাবাদে ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানাতে তিনি ঢাকায় এসেছিলেন।

২৭ জুলাই বুধবার থেকে ঢাকায় শুরু হতে যাচ্ছে ২০তম ডি-৮–এর মন্ত্রী পর্যায়ের এ সম্মেলন। ডি-৮–এর বর্তমান সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সম্মেলনের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন। এছাড়া সোমবার ও মঙ্গলবার ডি-৮ কমিশনের বৈঠক হবে ঢাকায়।

রবিবার এ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, উন্নয়নশীল আট দেশের জোট ডি-৮–এর মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে খাদ্য ও জ্বালানি–নিরাপত্তা এবার বিশেষ গুরুত্ব পাবে।

আট দেশের পক্ষ থেকে এবার কারা কারা অংশ নিচ্ছেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে মোমেন বলেন, হিনা রাব্বানি খার ছাড়াও সাত দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বা তাদের প্রতিনিধিরা সম্মেলনে যোগ দেবেন। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির-আবদুল্লাহিয়ান, মিসরের একজন সহকারী মন্ত্রী, ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিশেষ দূত, মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল, নাইজেরিয়ার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও তুরস্কের পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী সম্মেলনে নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন।

হিনা রাব্বানির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হবে কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘উনি দ্বিপক্ষীয় সফরে আসছেন না। উনি আসছেন ডি-৮ সম্মেলনে। সুতরাং আমরা ডি-৮ নিয়েই আলাপ করব।’

জানা গেছে, বুধবারের সম্মেলনে যোগ দিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে পাকিস্তানের নতুন সরকার বিলাওয়াল ভুট্টোর পরিবর্তে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিনা রাব্বানিকে ঢাকায় পাঠাচ্ছে।

এবারের সম্মেলনে কি কি নিয়ে আলচনা হবে, সে প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জ্বালানি ও খাদ্যনিরাপত্তা একটি বৈশ্বিক সমস্যা, যা বৈঠকে আলোচনা করা হবে। কারণ, এসব ক্ষেত্রে সহযোগিতার অনেক সুযোগ রয়েছে। আমরা খাদ্যনিরাপত্তাকে অনেক গুরুত্ব দিচ্ছি। খাদ্যনিরাপত্তা ইস্যু ব্যাপকভাবে আলোচিত হবে।’

রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে মোমেন বলেন, ‘এই যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে জ্বালানি–নিরাপত্তা নিয়ে সর্বত্র আলোচিত হচ্ছে এবং এটি বিশ্বব্যাপী একটি আলোচিত বিষয়। আমাদের অবশ্যই জ্বালানি–নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এটা নিয়েও আলোচনা হবে।’

আজারবাইজান ডি-৮ জোটের সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করেছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, তারা সদস্যপদ পাবে কি না, সে বিষয়ে ডি-৮ মন্ত্রীরা সিদ্ধান্ত নেবেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply