fbpx

১০ মাসে খাল থেকে ৭৫ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণের দাবি ডিএনসিসির

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসেই খালগুলো থেকে বিভিন্ন ধরণের প্রায় ৭৫ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন-ডিএনসিসি। ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম এর নির্দেশনা মোতাবেক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই বজ্য অপসারণ করা হয়েছে।

সোমবার (৮ নভেম্বর) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো  হয়।

এই সময়ের মধ্যে খালগুলো থেকে প্রায় ৬৫ হাজার মেট্রিক টন ভাসমান বর্জ্য এবং নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য আরও প্রায় ১০ হাজার মেট্রিক টন স্লাজ অপসারণ করা হয়। ইতোমধ্যে যেসব খাল থেকে ভাসমান বর্জ্য ও স্লাজ অপসারণ করা হয়েছে সেসব খালের পানিপ্রবাহও সচল হয়েছে। খালগুলো পরিষ্কারকরণের ফলেই গত বর্ষা মৌসুমে নগরবাসীকে জলজট ও জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দেয়া সম্ভব হয়েছে।

অপরিকল্পিত ঢাকার অধিকাংশ ভবনেই কার্যকর সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল না থাকায় অপরিশোধিত পয়ঃবর্জ্য সরাসরি ড্রেন কিংবা খালে পতিত হওয়ায় জলাশয়ের পানিসহ সার্বিক পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। খাল কোন ডাস্টবিন নয়, ময়লা-আবর্জনা, বর্জ্য নিক্ষেপের স্থান‌ও নয়, এটি জলাধার।

কোন সচেতন নাগরিকই খাল কিংবা অন্য কোন জলাশয়ে বর্জ্য নিক্ষেপ করতে পারে না। তাই নগরীর বাসাবাড়িগুলোতে আধুনিক সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল স্থাপন করতে হবে এবং পরিশোধন ব্যবস্থা সচল রাখতে হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ও ঢাকা ওয়াসার মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক মোতাবেক ঢাকা ওয়াসা কর্তৃক ২৯টি খাল ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নিকট হস্তান্তরিত হয়। ডিএনসিসির উদ্যোগে জনগণের সহায়তায় খাল উদ্ধার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে, প্রতিটি খালের দুই পাড়ের সীমানা নির্ধারণ করে তা যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply