দেশের শেয়ারবাজারে ১২ বছর পর চতুর্থ প্রজন্মের এক ব্যাংক যুক্ত হতে যাচ্ছে। এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংক এই প্রজন্মের প্রথম ব্যাংক হিসেবে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু করতে যাচ্ছে। সোমবার থেকেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) একযোগে কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হবে।
তবে এর আগে ব্যাংকটি দুই স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক তালিকাভুক্ত হবে। ডিএসইর ওয়েবসাইটে এনআরবিসি ব্যাংকের তালিকাভুক্তির বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
সেখান থেকে জানা গেছে, এনআরবিসি ব্যাংক প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওতে ১২ কোটি শেয়ার ছেড়ে ১২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। আইপিওতে প্রতিটি শেয়ার বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ১০ টাকা অভিহিত মূল্য বা ফেসভ্যালুতে বিক্রি করা হয়। আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থের মধ্যে ১১০ কোটি টাকা সরকারি বিভিন্ন সিকিউরিটিজে এবং ৬ কোটি টাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছে ব্যাংকটি।
এই তালিকায় ২০০৮ সালে সবশেষ যুক্ত হয়েছিল ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক। এর ১২ বছর পর শেয়ারবাজারে যুক্ত হচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংক। এ নিয়ে এখন শেয়ারবাজারে ব্যাংকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৩১ টি।
তবে এই তালিকায় সরকারি মালিকাধীন একমাত্র ব্যাংক হচ্ছে রূপালী ব্যাংক। এছাড়া বাকি ৩০টিই বেসরকারি ব্যাংক।
এই তালিকায় যোগ হওয়ার আগে রবিবার ডিএসইতে অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এনআরবিসি ব্যাংক। সেই তথ্য অনুযায়ী, গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর—এ তিন মাসে ব্যাংকটি কর-পরবর্তী ১০৪ কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছে। সেখানে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৭৯ পয়সা। তবে আইপিওর ১২ কোটি শেয়ারকে বিবেচনায় নেওয়ার পর শেয়ারপ্রতি আয় দাঁড়ায় প্রায় ১ টাকা ৪৯ পয়সায়।
প্রাথমিকভাবে এনআরবিসি ব্যাংক ‘এ’ শ্রেণিভুক্ত হবে। আর প্রথম ৩০ কার্যদিবস ব্যাংকটির শেয়ার কেনায় গ্রাহকদের কোনো ধরনের ঋণসুবিধা মিলবে না।