ঘণ্টায় ১৫০ মাইল বেগে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘আইডা’ আঘাত হেনেছে যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যে। দেশটির ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচএস) বলছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ব্যাপক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হবে সেখানের লোকজনকে। বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় সময় গতকাল রবিবার (২৯ আগস্ট) মেক্সিকো উপসাগরে সৃষ্ট শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড় উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় আইডায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় উপকূলীয় এলাকা থেকে আগেই লোকজনকে নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। নির্দেশনা অনুযায়ী এরইমধ্যে হাজার হাজার মানুষ ওই এলাকা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেছে। তবে, এখনো যারা সেখানে রয়ে গেছে তাদের ঘূর্ণিঝড় শেষ হওয়া পর্যন্ত নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে বলেছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় আইডাকে খুবই বিপজ্জনক বলে আখ্যা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এরইমধ্যে, লুইজিয়ানার প্রায় তিন লাখ মানুষ অন্ধকারে রয়েছে। বাইডেন হুঁশিয়ার করে বলেছেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে সপ্তাহের বেশি সময় লেগে যেতে পারে।
এর আগে, লুইজিয়ানাসহ আশপাশের এলাকায় ২০০৫ সালের আজকের এই দিনে আঘাত করেছিল হারিকেন ক্যাটরিনা। সেই ঝড়ে মারা গিয়েছিল ১ হাজার ৮০০ মানুষ। ক্যাটরিনা ছিল ক্যাটাগরি তিন ঘূর্ণিঝড়। কিন্তু এবার আঘাত হানতে যাওয়া ‘আইডা‘ চার ক্যাটাগরির ঘূর্ণিঝড়। তাই আশঙ্কা করা হচ্ছে, আইডায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ওই রকমই হবে।
এদিকে, লুইজিয়ানার পাশাপাশি মিসিসিপিসহ আলাবামা-ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের সীমান্ত পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব দেখা যাওয়ার পূর্বাভাসে দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অফিস। জানা গেছে, এসব অঞ্চলে ঝড়ের পাশাপাশি ভারী বৃষ্টিপাতও হতে পারে। তাই, মিসিসিপিতে আগে থেকেই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
এসব পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য চার হাজারের বেশি ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া, বাসিন্দাদের সাহায্যের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১৯৫টি জলযান, ৭৩টি নৌকা ও ৩৪টি হেলিকপ্টার।