fbpx

১৫ দিনের অবসরের মাথায় প্রতিমন্ত্রীর পদ পেলেন তিনি

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর পদ পেতে যাচ্ছেন সরকারের পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সাবেক সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম । আগামী রবিবার ১৮ জুলাই প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন তিনি।

অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৫ বছরের অধ্যাপনা শেষে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে যোগদান করেন ২০০৯ সালের ১ জুলাই। এরপর দীর্ঘ একযুগ তিনি পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক দায়িত্ব পালন করেন। গত ৩০ জুন তাঁর চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়।

অবসরে থাকার মাত্র পনেরো দিন পরে মন্ত্রিসভায় যুক্ত হওয়ার সুখবর পান তিনি। এর আগে একুশে পদক পান এই পরিকল্পনাবিদ।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে রবিবার শপথ নেয়ার আমন্ত্রণ পাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান ড. শামসুল আলম। তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে জিইডিতে যে দায়িত্ব দিয়েছিলেন সেটি আমি সূচারুভাবে পালন করেছি। এখন যে বিশ্বাস ও আস্থা রেখে নতুন দায়িত্ব দিচ্ছেন সেটিও যথাযথভাবে পালন করবো ইনশাআল্লাহ। আমার প্রধান কাজ হবে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি বৃদ্ধি করা।’

জানা যায়, সরকারের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনায় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন ড. শামসুল আলম। পালন করেছেন তার উপরে অর্পিত সকল দায়িত্ব। তাই তিনি সরকারের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারকের সুনজরে ছিলেন বরাবরই। যে কারণে সদ্য অবসরে যাওয়ার পরও তাকে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তবে জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত জাতীয় সংসদের সদস্য না হয়েও টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রিসভার সদস্য হওয়ার বিধান রয়েছে সংবিধানে। এর আগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হয়েছেন। এই তালিকায় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে যুক্ত হচ্ছেন ড. শামসুল আলম।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ড. শামসুল আলমের হাত ধরে তৈরি হয়েছে বেশ কয়েকটি উন্নয়ন পরিকল্পনা। যেগুলো এখন চলমান। ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক ও সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা তৈরিতে তার অসামান্য ভূমিকা ছিল। সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী দ্বিতীয় দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলপত্র (২০০৯-১১) সংশোধন ও পুনর্বিন্যাস করে ‘দিনবদলের পদক্ষেপ’ ২০১১ সাল পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়েছে। রূপকল্প ২০২১-এর আলোকে বাংলাদেশের প্রথম পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০১০-২০২১) তৈরি করে জিইডি। এ ছাড়া প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন কৌশলপত্র, সামাজিক সুরক্ষা কৌশলপত্র তৈরি হয়েছে ড. শামসুল আলমের হাত ধরেই।

ড. শামসুল আলম এ বছর সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ইকোনমিক মডেলিং কর্তৃক বাংলাদেশে এ সময়ের ইকোনমিস্ট অব ইনফ্লুয়েন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির ১৬তম বার্ষিক সম্মেলনে এ বছর তাকে স্বর্ণপদকে ভূষিত করা হয়। বাংলাদেশ শিক্ষা পর্যবেক্ষণ সোসাইটি তাকে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম স্মৃতি পদক ২০১৮-এ ভূষিত করে। তার গবেষণাগ্রন্থ, পাঠ্যপুস্তকসহ অর্থনীতি বিষয়ক প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা ১২টি।

Advertisement
Share.

Leave A Reply