fbpx

১৬ নারী নির্মাতাদের জন্য সুলতানা’স ড্রিমের কর্মশালা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

৮ মার্চ ছিলো আন্তর্জাতিক নারী দিবস। আর এই দিনেই ঘোষণা দেওয়া হলো ১৬জন নারী নির্মাতাদের নাম। আগামী একমাস এই ১৬জন অংশ নিবেন একটি কর্মশালায়। আর সেখান থেকেই সুলতানা’স ড্রিমের প্রযোজনায় ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স শিরোনামে স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অনুদান পাবেন তিনজন।

শতাধিক প্রতিযোগীর মধ্য থেকে ১৬ জন নির্মাতাকে বেছে নেয়ার অনলাইনে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনের সঞ্চলানায় ছিলেন অভিনয় শিল্পী নভেরা রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন চলচ্চিত্র সমালোচক ও সাংবাদিক সাদিয়া খালেদ ঋতি এবং গ্যেটে ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের পরিচালক ক্রিশ্টান হ্যাকেনব্রোক। এছাড়া অনুষ্ঠানে এই আয়োজনের উদ্যোক্তা চলচ্চিত্র নির্মাতা রুবাইয়াত হোসেন উপস্থিত থেকে অংশগ্রহণকারীদের সাথে মতবিনিময় করেন। পাশাপাশি তিনি ঘোষণা করেন কর্মশালায় অংশ নিতে যাওয়া ১৬ প্রতিযোগীর নাম।

তারা হলেন- লাবনী আশরাফ, আতশী কর্মকার, ফাতিহা তাইরা, জাহারা নাজিফা নোভা, নুসরাত জাহান ইশাত, ফারাহ জলিল, আফ্রিদা মেহজাবীন, ফারিয়া বেগম রাইয়া, ফাজানা নূর, নেহা শামীম, ফারিয়া মানার, মনন মুনতাকা, মাহমুদা আক্তার মনিশা, প্রাচিতা অহনা আলম, তিজাইয়া থমাস এবং মো. শিহাব।

এই আয়োজন প্রসঙ্গে রুবাইয়াত হোসেন বলেন, ‘চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমি মনে করি আমরা যারা আছি, তাদের সাথে আরো মেয়েদের চলচ্চিত্র নির্মণে এগিয়ে আসা উচিত। প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া প্রতিটি গল্প পড়ে আমি মুগ্ধ। প্রতিটি গল্পই ছিলো গুরুত্ত্বপূর্ণ এবং প্রতিটি গল্পই বলা জরুরি। প্রাথমিকভাবে আমরা ১৬ জনকে নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করেছি, সেখান থেকে তিনজনকে অনুদান দেওয়া হবে।’

এই আয়োজনের সহ-আয়োজক হিসেবে থাকছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান খনা টকিজ। পরিবেশকের দায়িত্বে থাকছে গ্যেটে ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ। এছাড়া নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলো দেশব্যাপী প্রদর্শিত হবে।

উল্লেখ্য সুলতানা’স ড্রিম বা সুলতানার স্বপ্ন, দক্ষিণ এশিয়ায় নারী শিক্ষার অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের একটি গল্প। এটি ১৯০২ সালে প্রকাশিত হয় দ্য ইন্ডিয়ান লেডিস ম্যাগাজিনে। যেখানে বেগম রোকেয়া তার কল্পনার জগতকে দেখেছেন সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে। তার কল্পনার জগতে ছেলেরা অন্দর মহলে অবস্থান করে বিধায় মেয়েরা কোন ভয় এবং সংকোচ ছাড়াই বাইরের জগতে বিচরণ করতে পারে।
কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপট একেবারেই ভিন্ন আমরা প্রতিনিয়তই দেখতে পাই যে বাংলাদেশে নারীদের প্রতিসহিংসতার ঘটনা ঘটেই চলছে। নারীর প্রতিসহিংসতার বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি একান্ত প্রয়োজন।ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স এমন একটি ক্ষেত্র তৈরি করতে যেখানে মেয়েরা নিজেদের সাথে বা আশে পাশে ঘটে যাওয়া সহিংসতার ঘটনাগুলো কোন রকম সংকোচ ছাড়াই জনসম্মুখে ব্যাক্ত করতে পারবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply