ভারতে করোনা ভাইরাসের যে ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে, বিশ্বের ১৭ টি দেশের সঙ্গে সেই ভ্যারিয়েন্টের মিল রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বুধবার (২৮ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।
বর্তমানে ভারতে করোনাভাইরাসের যে ধরনটি পাওয়া গেছে সেটি ‘বি.১.১৬৭’ নামে পরিচিত। একে অতি সংক্রামক বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতে এখন যে মহামারি চলছে, এর পেছনে করোনার এই ভ্যারিয়েন্ট অনেকাংশে দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ভারতে প্রথম শনাক্ত ‘বি.১.১৬৭’ নামের করোনার ভ্যারিয়েন্টটি বিশ্বের এক ডজনের বেশি দেশে পাওয়া গেছে। এমন দেশের সংখ্যা কমপক্ষে ১৭ টি।
জিনোম সিকোয়েন্সিং ডেটাবেইস গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটায় (জিআইএসএআইডি) গতকাল পর্যন্ত ১ হাজার ২০০টির বেশি করোনার ‘বি.১.১৬৭’ ধরনের সিকোয়েন্স আপলোড করা হয়েছে। অধিকাংশ সিকোয়েন্সই ভারত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুর থেকে আপলোড করা হয়েছে বলে জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে-অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, জার্মানি, নিউজিল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, পর্তুগাল, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, গ্রিস, নেদারল্যান্ডনস, ইতালি ও কম্বোডিয়া।
করোনাভাইরাস প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয়ে নিজের নতুন নতুন ধরণ তৈরি করে। ভারতে গত অক্টোবরে প্রথম ‘বি.১.১৬৭’ ধরনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় বলে দেশটির গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে। এ ধরনেরও একাধিক সংস্করণ তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে।
ভারতের বর্তমান করোনা পরিস্থিতির জন্য তিনটি কারণ উল্লেখ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এগুলো হলো গণজমায়েত, অতি সংক্রামক করোনা ধরন ও টিকাদানের নিম্ন হার।
ভারতে করোনার নতুন ধরনটির বৈশিষ্ট্য, সংক্রমণ ক্ষমতাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ব্যাপক পরিসরে গবেষণা করা দরকার বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।