fbpx

১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ টাকা কেজিতে চাল বিক্রি কার্যক্রম শুরু: খাদ্যমন্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশে একযোগে ১৫ টাকা কেজি দরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। রবিবার (১৪ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ফলে বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে বলেও আশা করেন তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘৫০ লাখ পরিবারের ৪ কোটি মানুষকে লক্ষ্য করে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ব্যাপকভাবে ওএমএস কার্যক্রম শুরু হবে। এ কর্মসূচি জেলা শহর, পৌরসভা বা সিটি এলাকায় একযোগে চলবে।

চাল বিতরণ প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘এ কর্মসূচির জন্য আমাদের ২ হাজার ১৩ জন ডিলার আছে। প্রত্যেক ডিলার প্রতিদিন ২ মেট্রিক টন করে চাল পাবেন। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় থাকা ভোক্তারা মাসের হিসাবে ৩০ কেজি চাল পাবেন ১৫ টাকা প্রতি কেজি দরে। এই কর্মসূচিতে তালিকাভুক্ত পরিবার চাল কিনতে পারবেন। আর ওএমএসের চাল যে কেউ কিনতে পারবেন। ৩০ টাকা কেজিতে এ চাল একজন ৫ কেজি করে কেনা যাবে।’

সরকারি মজুত আছে। সাধারণ মানুষের জন্য আমরা ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করব। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বছরে পাঁচ মাস হয়- সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর এবং মার্চ ও এপ্রিল। ৫০ লাখ পরিবার যখন উপকৃত হবে তখন বাজার থেকে চাল কেনা লাগবে না বলেও জানান খাদ্যমন্ত্রী।

এখন দুইটি সিজনের সন্ধিক্ষণ উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বোরো চলে গেছে, আমন আসবে। অনেক জায়গায় খরার কারণে মানুষের মধ্যে আমন ধান লাগানোর বিষয়ে ভীতি আছে। তার সঙ্গে পরিবহন খরচও বেড়েছে। তাছাড়া পরিবহন খরচ যেটা বেড়েছে সেই হিসেবে চালের দাম বাড়েনি, তার চেয়ে বেশি বেড়েছে। সেখানে আবার অসাধু ব্যবসায়ী আছে, এটা পরিষ্কার। সে কারণে মনিটর করব। অবৈধ মজুত আছে কি-না, দেখতে আমাদের নিয়মিত মনিটরিং কমিটি আছে। মনিটরিং আরও জোরদারে আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে কি-না, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘সেই সময়ের চিন্তা সেই সময়ে করা যাবে। যারা পলিসি লেভেলে আছেন তারা সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। চালের দামটা স্থিতিশীল রাখতে পারলেই আমরা মনে করি আমাদের সাইট থেকে। এটা বিশ্বব্যাপী বিষয়, এটার উত্তর আমি একা দিতে রাজি না।

চালের দাম বেশি রাখা হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী জানান, কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে চালের দাম বেড়েছে। আমরা ভোক্তা অধিকারকে মাঠে নামতে বলেছি। আমাদের মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তর থেকে ৫টি মনিটরিং কমিটি হয়েছে। জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে তারা যেন বাজারদর মনিটর করে এবং কোথাও যদি কোনো অবৈধ ধান বা চাল মজুত থাকে, আমাদের যে ক্রাশ প্রোগ্রাম চলে সেভাবে চলবে।’

চালের দাম বৃদ্ধির কারণে আমদানিরও চিন্তা রয়েছে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

Advertisement
Share.

Leave A Reply