বিয়ে হয়েছিলো এ বছরের ২ ফেব্রুয়ারি, গুণে গুণে মাত্র ১০ মাস, এরই ভেতর মডেল ও অভিনেত্রী সারিকার জীবনে ঘটে গেল চমকে যাওয়ার মত ঘটনা।
পারিবারিকভাবেই বিয়ে হয়েছিলো সারিকা এবং জি এস বদরুদ্দিন আহমেদ রাহী’র। বিয়ের ১০ মাস যেতে না যেতেই তাদের বিরোধ হয়েছে জোরালো। গড়িয়েছে তা আদালত পর্যন্ত।
যৌতুক দাবি ও মারধরের অভিযোগে অভিনেত্রী ও মডেল সারিকা সাবরিন তার স্বামী রাহীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তার স্বামীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
আজ সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবা ছন্দার আদালতে সারিকা সাবরিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। পরে আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর মামলাটি আমলে নিয়ে রাহীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেপ্তারসংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বিয়েতে ২০ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করা হয়। বিয়ের সময় সারিকার মা-বাবা বদরুদ্দিন রাহীকে ২৫ লাখ টাকার স্বর্ণালংকারসহ বাসার যাবতীয় আসবাবপত্র উপহার হিসেবে দেন। তবে বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই রাহী, সারিকার পরিবারের কাছে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে তাকে মারধর করতে থাকে। গত ৫ নভেম্বর আসামি বদরুদ্দিন রাহী ভিকটিম সারিকার কাছে ৫০ লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে বলে। যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় সারিকাকে এক কাপড়ে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
১৯ নভেম্বর ঢাকার ধানমন্ডিতে এ বিষয়ে একটি সালিশি বৈঠক হয়। বৈঠকের একপর্যায়ে রাহি বলেন, ব্যবসার জন্য তাকে ৫০ লাখ টাকা দিতে হবে। টাকা না দিলে সারিকার সঙ্গে সংসার করবে না এবং তাকে তালাক দিয়ে বেশি টাকা যৌতুক নিয়ে অন্য মেয়েকে বিয়ে করবেন।
এটি সারিকার ২য় বিয়ে। ২০১৪ সালের ১২ আগস্ট বন্ধু মাহিম করিমের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারের বাসিন্দা মাহিম পেশায় একজন ব্যবসায়ী। সাত বছর প্রেমের পর মাহিমকে বিয়ে করেন সারিকা। বিয়ের এক বছরের মাথায় সারিকার কোলজুড়ে আসে কন্যাসন্তান। ২০১৬ সালে সারিকার সেই সংসার ভেঙে যায়।
https://www.facebook.com/eveningshow.bbs/videos/454706480067605