বিশ্ববাজারে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রধান উপাদান প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহ কমে যাওয়ায় ২০২৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ভয়াবহ বিদ্যুৎসংকটের মধ্য দিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ সাধারণত ৪০ শতাংশ এলএনজি গ্যাস আমদানি করলেও চলতি বছর তা নামিয়ে এনেছে ৩০ শতাংশে। জ্বালানির ঊর্ধ্বমুখী দামের সঙ্গে খাপ খেতে গিয়ে দেশের রিজার্ভের ওপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আইএমএফের কাছ থেকে সহায়তা চাইছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের বরাত দিয়ে ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় এলএনজি গ্যাস আমদানি করতে রাষ্ট্রয়ত্ব সংস্থা পেট্রোবাংলাকে ২ হাজার কোটি টাকা (২১ কোটি ১০ লাখ ডলার) দেয়ার পরিকল্পনা অনুমোদন দিয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, দীর্ঘমেয়াদে গ্যাসের যোগান নিশ্চিত না করা পর্যন্ত উন্মুক্ত ও প্রতিযোগিতামূলক বাজার থেকে জ্বালানি কেনার বিষয়ে বাংলাদেশ ধীর গতিতে এগুবে। এ সময় মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের সঙ্গে চলমান চুক্তি অনুযায়ী জ্বালানি কেনার ওপর গুরুত্ব দেবে সরকার।
অন্যদিকে জ্বালানি তেল-গ্যাস উৎপাদক দেশ কাতারসহ বিভিন্ন দেশ ইঙ্গিত দিয়েছে, তারা ২০২৬ সালের আগে চুক্তিবদ্ধ জ্বালানি ছাড়া নতুন চুক্তির ভিত্তিতে তেল-গ্যাস বেচবে না।
মূলত রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধের জের ধরে এশিয়ায় লিকুইডিফাইড ন্যাচারাল গ্যাসের (এলএনজি) বাজারমূল্য দ্বিগুণ হয়ে যায়। ইউরোপের দেশগুলো গ্যাস ও জ্বালানি মজুত করায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে তৈরি হয় জ্বালানির জোগানে তীব্র সংকট।
এরই মধ্যে বিদ্যুৎ সাশ্রয় ও পরিস্থিতি নাগালে রাখতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো এরই মধ্যে বড় শহরগুলোতে নিয়ম করে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখার (লোডশেডিং) ব্যবস্থা নিয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।