চলতি বছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিক একুশে পদক পাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (অনুষ্ঠান) অসীম কুমার দে স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা করা হয়।
ভাষা আন্দোলনে বিশেষ অবদানের জন্য তিনজন, মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে তিনজন, শিল্পকলায় সাতজন, ভাষা ও সাহিত্যে তিনজন, সাংবাদিকতা, শিক্ষা, গবেষণা ও অর্থনীতিতে একজনের হাতে এবার একুশে পদক তুলে দেয়া হবে।
কারা পাচ্ছেন এবারের একুশে পদক
মোতাহার হোসেন তালুকদার (মরণোত্তর), শামছুল হক (মরণোত্তর), অ্যাডভোকেট আফসার উদ্দীনকে আহমেদকে (মরণোত্তর) ভাষা আন্দোলনে বিশেষ অবদানের জন্য এবার একুশে পদক দেয়া হচ্ছে।
আর সাত ব্যক্তিকে শিল্পকলায় পদক দেয়া হচ্ছে। এরা হলেন বেগম পাপিয়া সরোয়ার (সংগীত), সালমা বেগম সুজাতা (অভিনয়), রাইসুল ইসলাম আসাদ (অভিনয়), আহমেদ ইকবাল হায়দার (নাটক), পাভেল রহমান (আলোকচিত্র), সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী (চলচ্চিত্র) ও ড. ভাস্বর বন্দোপাধ্যয় (আবৃত্তি)।
এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা ইসাবেলা (মরণোত্তর), গোলাম হাসনায়েন ও ফজলুর রহমান খান ফারুক মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে এ একুশে পদক পেতে যাচ্ছেন।
পাশাপাশি ভাষা ও সাহিত্যে কবি কাজী রোজী, বুলবুল চৌধুরী, গোলাম মুরশিদ এই সম্মাননা পাবেন। এছাড়া গবেষণায় অধ্যাপক ড. সমীর কুমার সাহা, শিক্ষায় মাহফুজা খানম, অর্থনীতিতে ড. মির্জা আব্দুল জলিল, সাংবাদিকতায় অজয় দাশগুপ্ত ও সমাজসেবায় প্রফেসর কাজী কামরুজ্জামান পদক পাচ্ছেন।
যারা এই পদক পেতে যাচ্ছেন, নীতিমালা অনুযায়ী প্রত্যেককে এককালীন নগদ ৪ লাখ টাকাসহ ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেয়া হবে। সরকার প্রতিবছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই একুশে পদক দিয়ে থাকেন।
১৯৭৬ সাল থেকে বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, ভাষাসৈনিক, ভাষাবিদ, গবেষক, সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ, দারিদ্র্য বিমোচনে অবদানকারী, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পর্যায়ে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই পদক দেয়া হচ্ছে।