করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে দেশে গেল ২৪ ঘণ্টায় আরো ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে ৬ হাজার ৩০৫ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন। একই সময়ে আরো নতুন করে ২ হাজার ৩৬৪ জনের শরীরে নতুন করে ভাইরাসটি শনাক্ত করা গেছে। এ নিয়ে দেশে মোট ৪ লাখ ৪১ হাজার ১৫৯ জন ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হলেন।
আজ ১৯ নভেম্বর বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে দেশের ১১৭টি পরীক্ষাগারের তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৬ হাজার ৮২৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আর আগের কিছু নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয়েছে ১৭ হাজার ৫৩১টি। এ পর্যন্ত দেশে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়ালো ২৬ লাখ ৬ হাজার ৯৫২টি।
একদিনে আরো সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরো ১ হাজার ৯৩৪ জন রোগী। এ নিয়ে মোট ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৭২২ জন করোনারোগী সুস্থ হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ। আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৯২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮০ দশমিক ৮৬ শতাংশ, আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩০ জনের মধ্যে পুরুষ ২৫ জন এবং নারী পাঁচজন। এ পর্যন্ত মৃত ৬ হাজার ৩০৫ জনের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৮৫২ জন; যা শতাংশের হিসাবে ৭৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং নারী রয়েছেন ১ হাজার ৪৫৩ জন; যা শতাংশের হিসাবে ২৩ দশমিক ০৪ শতাংশ।
মৃতদের বয়স বিভাজনে বলা হয়েছে, গেল ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়স সীমার রয়েছেন দুজন। এছাড়াও ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী রয়েছেন সাতজন এবং ষাটোর্ধ্ব বয়সের মারা গেছেন ২১ জন।
গেল ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন যথারীতি ঢাকাতেই, ২৫ জন। এছাড়াও বরিশালে দুজন এবং চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও সিলেটে একজন করে মারা গেছেন। এদের মধ্যে ২০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন, আর একজন মারা গেছেন বাড়িতে।
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম আক্রান্ত শনাক্তের পর দ্রুত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে নভেল করোনাভাইরাস। মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয় বিশ্বের অধিকাংশ এলাকা। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। প্রথম মৃত্যুর খবর জানানো হয় ১৮ মার্চ।