fbpx

২৮ বছর পর শিরোপা জিতল আর্জেন্টিনা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ২২মিনিটে দি মারিয়ার একমাত্র গোলে ব্রাজিলকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বড় কোন আন্তর্জাতিক ট্রফিতে হাত ছোঁয়ার সুযোগ পায় মেসির আর্জেন্টিনা।

রবিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ছয়টায় ১৪ বছর পর কোপা আমেরিকার ফাইনালে মুখোমুখি হয় স্বাগতিক ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। ফাইনালে ব্রাজিল ৪-২-৩-১ এবং আর্জেন্টিনা সেমিফাইনালের ফরমেশন পরিবর্তন করে ৪-৪-২ ফরমেশনে মাঠে নামে। আগের ম্যাচ গুলোতে সুপার সাব হিসেবে দারুন ভূমিকা রাখা অ্যানহেল দি মারিয়াকে এদিন প্রথম একাদশেই রাখেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কলানি।

ফাইনাল শুরুর আগেই অনুমেয় ছিল আর্জেন্টিনার ডিফেন্সের বড় পরীক্ষা নিবে রিচার্লিসন,নেইমারদের আক্রমণভাগ,খেলা শুরুর মিনিট দশেকে সেটাই মনে করে দিয়েছে ব্রাজিল। ম্যাচের প্রথম অ্যাটাকে রিচার্লিসনের বাড়ানো বল নেইমার গোলে হিট করলে ব্লক করেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার নিকোলাস ওতামেন্দি।

প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়া দি মারিয়াই ম্যাচে প্রথম এবং একমাত্র গোল করেন। ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার রেনান লোদির ভুলে ব্রাজিলিয়ান গোলকিপার এডারসনকে একা পেয়ে যান দি মারিয়া, ব্রাজিল গোলির মাথার ওপর দিয়ে চিপ শটে বল জালে জড়িয়ে ফাইনালে গোল পাওয়ার আনন্দে মাতেন দি মারিয়া, অবশ্য দি মারিয়ার গোলের সমান ভাগিদার উদিনেস মিডফিল্ডার রদ্রিগো দে পল, তার চমৎকার পাসেই গোল পায় আর্জেন্টিনা।

শুরুতেই গোল পেয়ে যাওয়া দি মারিয়া গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন আরও অন্তত দুইটি, দুইবারই ব্রাজিল ডিফেন্স দি মারিয়ার শট ব্লক করে ফেরায়,বিরতির আগে রিচার্লিসনও সুযোগ পান দলকে সমতায় ফেরানোর, আর্জেন্টাইন শক্ত রক্ষণের সামনে গোল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি রিচার্লিসনের শট।

এক গোলে পিছিয়ে থাকা ব্রাজিল দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণভাগের শক্তি বাড়াতে মিডফিল্ডার ফ্রেড কে উঠিয়ে লিভারপুল ফরোয়ার্ড রবার্তো ফিরমিনোকে নামায়। গোলের খোঁজে মরিয়া ব্রাজিল ৫২মিনিটে গোলও পেয়ে যায়, অফসাইডের ফাঁদে বাতিল হয় সেই গোল। পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা রিচার্লিসন ৩ মিনিট পর আবারও গোলের খোঁজে শট নেন গোলে, এমি মার্তিনেজের সেভে গোল বঞ্চিত ব্রাজিল।

গোলের খোঁজে একের পর এক পরিবর্তনের অংশ হিসেবে ব্রাজিল কোচ তিতে ভিনিসিয়াস জুনিয়রকেও মাঠে নামান,কিন্তু কাজের কাজটা ঠিক করতে পারেনি ব্রাজিল। প্রথমার্ধে মাঠে অনেকটা অদৃশ্য থাকা মেসি এই হাফে নিজের উপস্থিতি জানান দেন, ৫০ এবং ৬৫ মিনিটে ব্রাজিলের বক্সে মেসির দুইটি শট ব্লক করে ব্রাজিল ডিফেন্স।

শেষ ১০ মিনিট গোলের সব চেষ্টাই করে ব্রাজিল, ৮৭ মিনিটে বদলি অ্যাটাকার গ্যাব্রিয়েল বারবোসার জোড়ালো শট ঠেকিয়ে দিয়ে আরও একবার ব্রাজিলকে হতাশায় ফেলেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। পরের মিনিটেই দারুন কাউন্টার অ্যাটাকে ম্যাচে গোলের সবচেয়ে ভালো সুযোগ পান মেসি, গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল পাননি আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।

নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর যোগ করা অতিরিক্ত পাঁচ মিনিটও পড়িমরি করে ব্রাজিলের সব আক্রমণ সামলায় আর্জেন্টিনা ডিফেন্স। ৫ জন অ্যাটাকার নিয়ে খেলা শেষ করা ব্রাজিল শেষ পর্যন্ত গোলের দেখা পায়নি। ফলে ০-১ গোলের হার নিয়ে মাঠছাড়ে তিতের শিষ্যরা।

Advertisement
Share.

Leave A Reply