fbpx

৩০ শিক্ষার্থী নিয়ে পরবর্তী রাউন্ডে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২২, বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতার তৃতীয় রাউন্ডে অংশগ্রহণ করবে ৩০ জন শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের সিজিপিএ, অ্যাকাডেমিক জ্ঞান, সৃজনশীলতা, প্রজেক্ট আইডিয়া ও ইংরেজি বিষয়ে দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে তাদের এ প্রোগ্রামের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।

হুয়াওয়ের কর্মকর্তা, প্রজেক্ট ম্যানেজার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত বিচারক প্যানেল দ্বিতীয় রাউন্ডে অংশ নেয়া ২শ’ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে থেকে তৃতীয় রাউন্ডের জন্য এই ৩০ শিক্ষার্থীকে নির্বাচন করেন।

প্রাথমিকভাবে এই প্রোগ্রামে এক হাজার একশ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। সেখান থেকে যে ৩০ জন তৃতীয় রাউন্ডের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন, এই ধাপে তাদের দক্ষতা, পরীক্ষা, প্রকল্প, ও প্রেজেন্টেশেন স্কিল রপ্ত করার ওপর জোর দেয়া হবে। ‘মিট দ্য মেন্টর’ শীর্ষক প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণও দেয়া হবে। তৃতীয় রাউন্ডের পারফরমেন্সের ভিত্তিতে নয়জন সেরা শিক্ষার্থী থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় রিজিওনাল রাউন্ডে অংশ নেয়ার সুযোগ পাবেন। রিজিওনাল রাউন্ডের বিজয়ীরা সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠেয় ‘টেকফরগুড অ্যাকসেলেরেটর ক্যাম্প’ এ অংশ গ্রহণ করবে।

এ নিয়ে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স ও কমিউনিকেশন্স বিভাগের প্রধান ইউইং কার্ল বলেন, “নয় বছর আগে হুয়াওয়ে বাংলাদেশে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ (এসএফটিএফ) প্রোগ্রামটি চালু করে। প্রতিবারই আমরা অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পেয়েছি। এই বছর অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সাথে আমাদের অভিজ্ঞতা চমৎকার। আইসিটি খাত রূপান্তরের স্বপ্নপূরণে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। এই স্বপ্নপূরণে তরুণরাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মেধাবী এসব তরুণদের মাঝে যে অসীম সম্ভাবনা রয়েছে তা দেখে আমি বেশ আশাবাদী। আমাদের এ প্রোগ্রামটি দেশের চলমান ডিজিটাল রূপান্তরের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এ প্রোগ্রামটি দেশটির ডিজিটাল রূপান্তরকে ত্বরাণ্বিত করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এসএফটিএফ এর পরবর্তী ধাপে শিক্ষার্থীরা অনেক কিছু শিখবে বলে আমি প্রত্যাশা করছি।”

সেরা ৩০ জন শিক্ষার্থী হলেন- বুয়েট থেকে তাকি ইয়াশির, এলিন রঞ্জন দাস ও গোলাম মাহমুদ সামদানি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শাহাদ সারোয়ার, শাদমিন সুলতানা, মো. আশিকুজ্জামান কৌশিক ও নাফিসা আমিন হৃদি। কুয়েট থেকে সুনন্দা দাস ও মো. সাজেদুর রহমান। রুয়েট থেকে মনোয়ারা নাজনীন, ফারহানা আমিন, মাদিহা বিনতে জাকির, মেহেরীন তাবাসসুম ও মো. মাশরুর সাকিব। আইইউটি থেকে ওয়াসিফা রহমান রেশমি, আনিকা রেহনুমা, মো. সুমিত হাসান, ফাইরুজ শাইআরা ও মো. সাজিদ আলতাফ। ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি থেকে মাফরুজা মাহরিন নেহা, সাদ মাহবুব চৌধুরী ও মারজিয়া তাবাসসুম প্রীতি। এইউএসটি থেকে আব্দুল্লাহ সালেহ ও আবু মো. ফুয়াদ। চুয়েট থেকে সুমাইয়া আবুল কালাম ও মোহাম্মদ ইফতেখার ইবনে জালাল এবং ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি থেকে মো. সায়েম সাদাত হোসাইন, লাজিব শারার শায়ক, মোহসীনা তাজ ও আংকিতা কুন্ড।

‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ উদ্যোগটি বৈশ্বিকভাবে ২০০৮ সালে থাইল্যান্ডে শুরু হয়। এখন পর্যন্ত, এ প্রোগ্রামটি বিশ্বব্যাপী ১৩৭টি দেশে চালু হয়েছে। বিশ্বজুড়ে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী ও ৫শর’ও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় এ উদ্যোগের সুবিধাভোগ করেছে। এসটিইএম ( বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, গণিত) ও নন-এসটিইএম পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য এসএফটিএফ প্রোগ্রাম অংশগ্রহণকারীদের জন্য শেখার সুযোগ তৈরি করছে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট), রাজশাহী প্রকৌলশ ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট), ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি), ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ও আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (এইউএসটি) এর অধ্যাপকদের নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডের বিচারকমণ্ডলী প্যানেল তৈরি করা হয়।

Advertisement
Share.

Leave A Reply