চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কারণে জীবনযাত্রাসহ দ্রুত সবকিছুর পরিবর্তন হচ্ছে। ফলে মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য ও স্বাধীনতা ঝুঁকির মুখে পড়ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
জুনাইদ আহমেদ পলক শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের (বিআইসিসি) হল অফ ফেমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে “ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ- ২০২১” এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই প্রযুক্তির সাথে খাপ খাওয়াতে আমাদের বেগ পেতে হচ্ছে।তাই আমাদের তরুণদের দক্ষ ও পারদর্শী করে তুলতে হবে। তা না হলে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে আমরা পিছিয়ে পড়বো।
প্রযুক্তিকে উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা পৃথিবীতে সক্ষমতা অর্জন করতে চাই উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ভূমি, কৃষি ও স্বরাষ্ট্র , আইন ও বিচার ব্যবস্থাপনায় সরকার ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছে। ব্লকচেইন টেকনোলজি নিয়ে আমাদের উদ্যোক্তা এবং উদ্ভাবকেরা যেন স্থানীয় উদ্ভাবনের মাধ্যমে, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সমস্যা সমাধান করতে পারে, সে লক্ষ্যে তাদের প্রস্তুত করতে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।’
পাশাপাশি ডিজরাপটিভ টেকনোলজি মোকাবেলা করতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট, বিগডাটা, রোবটিক, ব্লকচেইন ও মাইক্রোপ্রসেসর ডিজাইন -এ ৫টি প্রযুক্তিতে আমাদেরকে এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে বলেও জোর দেন প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, ইআরডি সচিব ফাতেমা ইয়াসমি, বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের অ্যাম্বাসেডর মসউদ মান্নান, হংকং ব্লকচেইন অলিম্পিয়াডের প্রেসিডেন্ট ড. লরেন্স মা, যুক্তরাষ্ট্রের এম আই টি এর পরিচালক অ্যালান এডেলম্যান, ব্লকচেইন অলিম্পিয়াডের আহবায়ক প্রফেসর মো. কায়কোবাদ, ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের কো-অর্ডিনেটর হাবিবুল্লাহ এন করিম।
উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০টি দল এ অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছয় ক্যাটাগরিতে মোট ১০ জনকে পুরস্কার দেয়া হয়। পরে প্রতিমন্ত্রী ২৫-২৭ ফেব্রুয়ারি ৩ দিন ব্যাপী আয়োজিত ব্লকচেইন অলিম্পিয়াডে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন।