fbpx

৪২ নাগরিকের অভিযোগ ভিত্তিহীন : ইসি

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও আর্থিক অনিয়মে, ৪২ নাগরিকের আনা অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্য কমিশনাররা।

২৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এ বিষয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সিইসি’ কে এম নূরুল হুদা কমিশনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে ৪২ নাগরিকের বিভিন্ন অভিযোগের বিপক্ষে তাঁদের অবস্থান তুলে ধরেন।

এ সময় নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, শাহাদাত হোসাইন, কমিশন সচিব মোহাম্মদ আলমগীর উপস্থিত ছিলেন। তবে সংবাদ সম্মেলনে অপর নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার উপস্থিত ছিলেন না।

সংবাদ সম্মেলনে সিইসি নূরুল হুদা বলেন, ‘সম্প্রতি দেশের ৪২ নাগরিক ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্রপতির কাছে তাঁরা আবেদন করেছেন বলে বলে জানা যায়। আর এ নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। তাই এ ব্যাপারে কমিশনের বক্তব্য স্পষ্ট করা প্রয়োজন।’

সিইসি আরও বলেন, ‘একাদশ সংসদ নির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচনে প্রশিক্ষণের কর্মপরিকল্পনায় ১৫ জন বিশেষ বক্তার জন্য ২ কোটি টাকা বরাদ্দই ছিল না। ফলে, প্রায় ২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, কমিশন গত তিন বছরে প্রাধিকারভুক্ত গাড়িই পায়নি। যে গাড়ি ব্যবহার করছে, সেটি কমিশন কার্যালয়ে ব্যবহৃত হতো। কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এবং ইভিএম ক্রয় ও ব্যবহারে কোনো দুর্নীতি হয়নি বলেও দাবি করেন সিইসি।

একইভাবে বিভিন্ন নির্বাচনে অসদাচরণ ও অনিয়ম নিয়ে বিশিষ্ট নাগরিকদের আনা অভিযোগও নাকচ করে দিয়েছে কমিশন। এ ব্যাপারে সিইসি বলেন, ‘২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদেশি কূটনীতিকেরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন। পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোও কোনো অভিযোগ করেনি। আর স্থানীয় সংসদ নির্বাচনে অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন।’

সিইসি দাবি করেন, তুমুল প্রতিযোগিতার মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভোট পড়ছে ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ। প্রতি আসনে বা পদে প্রার্থী ২ থেকে ৮ জন। তাই নির্বাচনের প্রতি মানুষ আস্থা হারিয়েছে, এ কথা ভিত্তিহীন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply