দেশের ৮ বিভাগে একযোগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) আটটি বিভাগীয় শহরের ৩৬৯টি কেন্দ্রে সকাল ১০ টা থেকে পরীক্ষা শুরু হবে।
এবারের পরীক্ষায় ৪ লাখ ৩৫ হাজার ১৯০ জন প্রার্থী আবেদন করেছেন, যা বিসিএসের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আবেদনের রেকর্ড- এমনটি জানিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের কেন্দ্রগুলোতে বেলা ১২টা পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে।
পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘সব ধরনের সভা ও প্রস্তুতি শেষ। আমাদের সদস্যরা বিভিন্ন বিভাগে যাওয়া শুরু করেছেন। পরীক্ষার পরিস্থিতি দেখে তাঁরা আবার ফিরে আসবেন। পরীক্ষার দিনে সকাল সাড়ে নয়টায় পিএসসিতে লটারি হবে। সেখানেই নির্ধারিত হবে কোনো সেটে পরীক্ষা হবে। আমরা সবকিছু প্রস্তুত রেখেছি।’
বরাবরের মতই বই, ব্যাগ, ঘড়ি, মোবাইল, ক্যালকুলেটর বা কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না।এ ধরনের কিছু পাওয়া গেলে প্রার্থিতা বাতিলসহ ভবিষ্যতে কর্ম কমিশনের সকল নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ওই প্রার্থী অযোগ্য হবেন বলেও জানিয়েছে কর্ম কমিশন।
৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৮১৪ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ১০০ জন, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ২৫ জন, শিক্ষা ক্যাডারের জন্য ৮৪৩ জন, অডিটে ৩৫ জন, তথ্যে ২২ জন, ট্যাক্সে ১৯ জন, কাস্টমসে ১৪ জন ও সমবায়ে ১৯ জন নিয়োগ দেওয়া হবে।
এবারও পরীক্ষার্থীদের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য, বাংলাদেশ বিষয়াবলি, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সাধারণ বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি, গাণিতিক যুক্তি, মানসিক দক্ষতা, নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন মিলিয়ে ২০০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ২০০টি প্রশ্নের প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বরের বিপরীতে প্রতিটি ভুল উত্তরে কমবে শূন্য দশমিক ৫০ নম্বর।
গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর এই বিসিএসের আবেদন গ্রহণ শুরু হয়। পরে মহামারী পরিস্থিতিতে কয়েক দফা বাড়িয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়।