তীব্র স্রোতের কারণে টানা ৪৭ দিন বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। সোমবার (৪ অক্টোবর) মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়। এদিন সকাল ১১ টার দিকে শিমুলিয়া ঘাট থেকে কে-টাইপের একটি ফেরি কুঞ্জলতা যানবাহন নিয়ে বাংলাবাজার ঘাটের উদ্দেশে রওনা দেয়। সেটি দুপুর ১২টা ২ মিনিটে বাংলাবাজার ঘাটের ২ নম্বর ঘাটে এসে পৌঁছায়।
আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে এই ফেরি ছাড়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি। এখনও বাণিজ্যিকভাবে ফেরি চলাচলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়াত আহম্মেদ বলেন, ‘আমরা ১৬টি ছোট গাড়ি (মাইক্রোবাস, পিকআপ ভ্যান, কাভার্ড ভ্যান) ও ২০টি মোটরসাইকেল লোড দিয়ে একটি কে-টাইপের ফেরি বাংলাবাজার ঘাটের উদ্দেশে ছেড়েছি। ফেরিটি পরীক্ষামূলকভাবে ছাড়া হয়েছে। এখনো বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ফেরি চলবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ হওয়ার পরে ফেরি কুঞ্জলতাসহ বেশ কয়েকটি ফেরি চাঁদপুর ফেরিঘাটে পাঠানো হয়। সেখান থেকেই একটি ফেরি গতকাল শিমুলিয়া ঘাটে আসে ট্রায়াল দেওয়ার জন্য।
বিআইডব্লিউটিসি বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার পর আমরা পরীক্ষামূলক ফেরি চলাচল শুরু করেছি। শিমুলিয়া থেকে কোনো সমস্যা ছাড়াই দুপুর ১২টায় ফেরি কুঞ্জলতা বাংলাবাজার ঘাটে এসে পৌঁছায়। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মতো ওই ফেরি বাংলাবাজার ঘাট থেকে ১২টি প্রাইভেট কার, ২টি পিকআপ ভ্যান ও ১০ থেকে ১২টি মোটরসাইকেল লোড দিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার পর শিমুলিয়া ঘাটের উদ্দেশে ছাড়া হয়। ফেরিটি ঠিকমতো পৌঁছাতে পারলে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আমরা ফেরি চলাচল পুরোদমে শুরু করতে পারব।’
পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় ১৮ আগস্ট থেকে এই নৌপথে ফেরি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।