বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রীর ৫০ বছর পূর্তির শুভক্ষণে দুই দেশের অমিমাংসিত বিষয়ের সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। পাশাপাশি সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (০৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রীর ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘মৈত্রীর বন্ধনে সুবর্ণ সম্প্রীতি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করতে হলে বাংলাদেশের সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ যেমন একত্রে কাজ করতে হবে, তেমনি দুই বন্ধু রাষ্ট্র বাংলাদেশ ও ভারতের সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে। আঞ্চলিক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ-ভারত যৌথভাবে দক্ষিণ এশিয়ায় নেতৃত্ব দেবে, এমনকি বিশ্বে নেতৃত্ব দেবে। বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ নেতৃত্বে বিশ্ব অপার বিস্ময়ে দেখবে এ অঞ্চলের মানুষ ঐতিহ্য ও গৌরবকে কীভাবে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে।‘
এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারতের মৈত্রী নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ। অভিন্ন সীমান্ত, অভিন্ন ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিসহ অনেক কিছুতেই আমাদের সম্প্রীতি রয়েছে।‘
বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধীদের কিছু সত্তা এখনো আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানের হাজার বছরের ঐতিহ্যে বিশ্বাস করে। এই বাংলাদেশে আর কোনদিন স্বাধীনতাবিরোধী, মৌলবাদী, সন্ত্রাসীরা রাষ্ট্রক্ষমতায় আসতে পারবে না।‘
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে দুই দেশের সমুদ্রসীমা ও স্থলসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের পারস্পারিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা চাইবো এ সহযোগিতার দিগন্ত যেন আরো সম্প্রসারণ হয়, যাতে আমরা বিশ্বের কাছে বিস্ময়কর বন্ধুত্বের নজির দেখাতে পারি। বাংলাদেশ ভারত-মৈত্রীর ৫০ বছর পূর্তির শুভক্ষণে দুই দেশের অমিমাংসিত বিষয়ের সমাধান হবে বলে আমি প্রত্যাশা করছি।‘