fbpx

৫৮০টি পণ্যবাহী ওয়াগন যুক্ত হচ্ছে রেলের বহরে

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বাংলাদেশ রেলওয়ে ৫৮০টি মিটার গেজ পণ্যবাহী ওয়াগন কিনছে চীন থেকে। প্রায় ৫৫ লাখ টাকা করে দাম পড়ছে প্রতিটি ওয়াগনের। আগামী ১৮ থেকে ৩০ মাসের মধ্যে চীনের প্রতিষ্ঠান সিআরআরসি শ্যাংডং কোম্পানি লিমিটেড সরবরাহ করবে ওয়াগনগুলো।

মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) ওয়াগনগুলো কেনার জন্য রেলভবনে একটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় রেলওয়ের ‘রোলিং স্টক অপারেশন ইমপ্রুভমেন্ট’ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সিআরআরসি কোম্পানি লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডাই জিয়েন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিপত্রে সই করেন। রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ‘রোলিং স্টক অপারেশন ইমপ্রুভমেন্ট’ প্রজেক্টের মাধ্যমে কেনা এই ওয়াগনগুলোর চুক্তিমূল্য ৩১৮ কোটি ৬৩ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। এই ২৮০টি মিটার গেজ ওয়াগনের মধ্যে ৩৮৬টি কাভার্ড, ১৭৪টি খোলা ও বাকি ২০টি বগি ব্রেক ভ্যান রয়েছে।

অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, সারা দেশের রেল যোগাযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে অনেকগুলো প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে রেল যোগাযোগ স্থাপনের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে ভারতের সাথে আটটি ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্টের মধ্যে বর্তমানে পাঁচটি চালু করা হয়েছে।

মন্ত্রী জানান, আরো তিনটি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তারমধ্যে, খুলনার সাথে মোংলা বন্দরে যোগাযোগ স্থাপন করা হচ্ছে। আগামী বছর ডিসেম্বরে কক্সবাজার রেললাইন চালুর লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে চলছে। পর্যায়ক্রমে সব মিটার গেজকে ব্রড গেজে রূপান্তর করা হবে। এছাড়া, যমুনা নদীর ওপর আলাদা সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে।

এদিকে, বহরে যুক্ত হওয়ার পর এসব ওয়াগন রেলওয়ের পণ্য পরিবহন সক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে বলে আশা করছেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা। তারা জানান, ক্রমবর্ধমান চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন পণ্যবাহী ট্রেন চালু করা সম্ভব হবে। সার্বিকভাবে এসব ওয়াগন রেলওয়ের রাজস্ব আয় বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদারসহ ওয়াগন সরবাহকারী প্রতিষ্ঠান সিআরআরসি কোম্পানি লিমিটেড, রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

Advertisement
Share.

Leave A Reply