কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন ও ওই ঘটনায় জড়িত আরও তিনজনকে সাত দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত।
২৩ অক্টোবর (শনিবার) কুমিল্লার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মিথিলা জাহান নিপা এ আদেশ দেন।
এর আগে সকালে তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড প্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন, জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে কল করা ইকরাম, দারোগা বাড়ির মাজারের অস্থায়ী খাদেম ফয়সাল ও হুমায়ন কবীর।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.তানভির জানান, ধর্মীয় অনুভূতি মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আর এক ঘটনায় অনেকগুলো বিষয় জড়িত থাকায়, কাদের প্ররোচনায় এমন কাজ করেছে তা এখনো স্পষ্ট জানা যাচ্ছে না। তদন্তে আরও কোন তথ্য বের হয়ে আসলে অথবা অন্য ঘটনার সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা থাকলে তাদের নামে মামলা হবে।
গত ১৩ অক্টোবর খুব ভোরে শারদীয় দুর্গাপূজার মহা অষ্টমীর দিন কুমিল্লা শহরের নানুয়া দীঘির উত্তর পাড়ে একটি অস্থায়ী পূজামণ্ডপে প্রতিমার পায়ের ওপর পবিত্র কোরআন দেখা যায়। এরপর কোরআন শরিফ অবমাননার অভিযোগ তুলে ওই মণ্ডপে হামলা চালায় একদল দুর্বৃত্ত। এ সময় সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়।
কুমিল্লার ঘটনার জের ধরে ওইদিনই চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে হিন্দুদের ওপর হামলা করতে যাওয়া একদল ব্যক্তির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সেখানে নিহত হন চারজন। এর পরের দিন একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে হিন্দুদের মন্দির, মণ্ডপ ও দোকানপাটে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়। সেখানে হামলায় দুজন নিহত হন।
এরপর আবারো রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দু বসতিতে হামলা করে ভাঙচুর, লুটপাট ও ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। দেশের আরও অনেক এলাকায় হিন্দুদের মন্দির, মণ্ডপসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালানো হয়।
