fbpx

৮০ বছর পর ফের জার্মান ট্যাংকের মুখোমুখি রাশিয়া

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

স্তালিনগ্রাদ যুদ্ধের সমাপ্তির ৮০ বছর পেরিয়ে গেছে। ঠিক সেই সময়ে দাঁড়িয়ে অর্থাৎ স্তালিনগ্রাদ যুদ্ধের সমাপ্তির ৮০ বছর পূর্তিতে দেওয়া ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেইনে রাশিয়ার সেনা অভিযানের সঙ্গে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে সোভিয়েতের লড়াইয়ের তুলনা টেনেছেন।

ইউক্রেইনে ট্যাংক পাঠানোর জার্মান সিদ্ধান্তকে ইঙ্গিত করে পুতিন বলেছেন, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।

তিনি বলেছেন, ‘এটা অবিশ্বাস্য, কিন্তু সত্য। আমরা ফের জার্মান লেপার্ড ট্যাংকের হুমকির মুখোমুখি।’ বলেছেন তিনি।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেইনে সেনা পাঠানোর পর যে পশ্চিমা দেশগুলো কিইভকে নানাভাবে সহায়তা করছে জার্মানি তার অন্যতম। খবর বিবিসি

স্তালিনগ্রাদের এখনকার নাম ভলগোগ্রাদ, সেখানে দেওয়া ভাষণে পুতিন ইউক্রেইনে প্রয়োজনে প্রচলিত অস্ত্রশস্ত্রের বাইরে অন্য কিছু ব্যবহারেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ‘যারা রাশিয়াকে যুদ্ধে হারানোর খোয়াব দেখছেন, তারা বুঝতে পারছেন না। রাশিয়ার সঙ্গে অত্যাধুনিক যুদ্ধ তাদের জন্য কঠিন হবে বলেই মনে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেছেন, ‘আমরা আমাদের ট্যাংক তাদের সীমান্তে পাঠাচ্ছি না, কিন্তু আমাদের তো জবাব দিতেই হবে। সেই জবাব কেবল সাঁজোয়া অস্ত্রশস্ত্রে হবে না। সবারই সেটা বোঝা উচিত।’

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, ‘পশ্চিমা দেশগুলো সম্মিলিতভাবে যত নতুন অস্ত্র পাঠাবে, রাশিয়াও তার প্রতিক্রিয়া দেখানোর সম্ভাবনাকে আরও বেশি করে কাজে লাগাবে।’

স্তালিনগ্রাডের ওই যুদ্ধে প্রায় ৯১ হাজার জার্মান সেনা রুশ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এই ফ্রন্টের লড়াইয়ে ১০ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আর কোনো ফ্রন্ট এত প্রাণহানি দেখেনি।

ঐতিহাসিকদের তথ্যমতে, স্তালিনগ্রাডের যুদ্ধে রাশিয়ার বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ কৌশল অবলম্বন করেছিল। শীতের জন্য অপেক্ষা করেছিল তারা। সমস্ত ঘর জ্বালাতে জ্বালাতে তারা পিছিয়ে গিয়েছিল। জার্মান বাহিনীও সেই সুযোগে রাশিয়ার ভেতরে ঢুকে পড়ে। এরপরেই শুরু হয় শীতকাল। জার্মান বাহিনীকে ঘিরে ধরে রাশিয়ার বাহিনী। ঠান্ডায় সামান্য মাথা গোঁজার জায়গাও পায়নি জার্মান সেনারা। ঠাণ্ডাতেই মৃত্যু হয়েছিল বহু সেনার। এর আগে একই কৌশল নেপোলিয়ানের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছিল রাশিয়া।

ইউক্রেন যুদ্ধে কিয়েভের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে আক্রমণ চালিয়ে এবারও সেই একই কৌশল নেওয়ার চেষ্টা করেছিল রাশিয়া। তবে বাস্তবে তা সফল হয়নি।

রুশ প্রেসিডেন্টের বক্তব্য অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে ইউক্রেন। তাদের বক্তব্য, আক্রমণ রাশিয়া চালিয়েছে, ইউক্রেন নয়। রাশিয়ার এই যুদ্ধ জেতার কোনো সম্ভাবনা নেই।

উল্লেখ্য, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেইনে সেনা পাঠানোর পর যে পশ্চিমা দেশগুলো কিয়েভকে নানাভাবে সহায়তা করছে জার্মানি তার অন্যতম।

Advertisement
Share.

Leave A Reply