fbpx

৮ উইকেটে চট্টগ্রাম টেস্ট জিতল পাকিস্তান

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনায় গতকাল বিকেলেই জয়টা পাকিস্তানের নামে লেখা হয়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশের দরকার ছিল ‘মিরাকল’।

তবে মিরাকল সবসময় হয় না, তাই আগের দিন বিনা উইকেটে ১০৯ রান তুলে শেষ করা পাকিস্তান সকালের সেশনেই বাকি ৯৩ রান তুলে মোটামুটি বিনা ক্লেশেই জিতে গেল পাকিস্তান। বাংলাদেশের প্রাপ্তি বলতে সকালের সেশনে পাকিস্তানের ২টি উইকেট ফেলতে পারা, পাকিস্তানের অপ্রাপ্তি বলতে আবিদ আলীর সেঞ্চুরি বঞ্চিত হওয়া।

চট্টগ্রামের সাগরিকায় বহুদিন পর সাদা পোশাকের ফরম্যাটে ফিরেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, এই টেস্ট প্রথম দিন থেকেই ছড়িয়েছে অনেক রং, পেন্ডুলামের মতো ম্যাচের মোড় কখনো পাকিস্তান তো কখনো বাংলাদেশের দিকে গেছে।

প্রথমদিন প্রথম সেশনে বাংলাদেশের টপ অর্ডারে ধ্বসের পর গোটা দিন লিটন মুশফিকের অসামান্য দৃঢ়তায় আর কোন উইকেট না হারানো, লিটন দাসের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি, দ্বিতীয় দিন ৩৩০ রানের বড় সংগ্রহ তুলে ইনিংস শেষ করা, এরপর দ্বিতীয় দিনের বিকেলে পাকিস্তানের ওপেনিং জুটিরও কোন উইকেট না হারানো থেকে তৃতীয় দিন বিকেলের মধ্যেই ৪৪ রানে পিছিয়ে থেকে অলআউট পাকিস্তান।

সবাই যখন ভাবছিল বাংলাদেশের দিকে জয়ের পাল্লা ভারী ঠিক তখনই আবারো ২য় ইনিংসে বাংলাদেশের টপ অর্ডারের পতন, এরপর ইয়াসির আলীর চোট, নুরুলের সেই আজগুবি শটে বাংলাদেশের লিড বড় না হওয়া। ৫ম দিন সকালে পাকিস্তানের সহজ জয়। সব মিলিয়ে একটি টেস্ট ম্যাচই তার প্রায় সকল রোমাঞ্চ নিয়েই দেখা দিয়েছে।

তবে শেষমেশ বাংলাদেশ হেরেছে এবং এখন বাংলাদেশের সামনে অনেক প্রশ্ন ও যদি কিন্তুর হিসেব। টপ অর্ডারে দুর্বলতা, ঘরের মাটিতে পেসারদের অসাড়তাসহ নানান বিষয়ের উত্তর খুঁজতে হবে টাইগার টিম ম্যানেজমেন্টকে।

এই টেস্টে বাংলাদেশের প্রাপ্তি বলতে লিটন কুমার দাস ও তাইজুল ইসলাম। সেঞ্চুরি ও ফিফটিসহ ১৭৪ রান করে লিটন দিয়েছেন নিজের ক্লাস ও সামর্থ্যের প্রমাণ। তাইজুল ইসলাম এক ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়ে ব্যাটিং স্বর্গ পিচেও স্পিনের জাদু দেখিয়েছেন। অভিষিক্ত ইয়াসির আলী রাব্বিও দেখিয়েছেন ঝলক।

এই প্রাপ্তিগুলোর ওপর ভর করে ও নিজেদের দূর্বলতাগুলো নিয়ে কাজ করে ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু ঢাকা টেস্টে জয়ের ছক আঁকতেই চাইবে বাংলাদেশ।

Advertisement
Share.

Leave A Reply