করোনার ভ্যাকসিন ক্রয়সহ ৬টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এতে ব্যয় হবে মোট ৯ হাজার ৫৬৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা ।
৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত ছিলেন ।
করোনার ভ্যাকসিন প্রকল্পটি ‘কভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড পেন্ডামিক প্রিপেয়ার্ডনেস’ প্রকল্পের প্রথম সংশোধনী। এতে প্রকল্পটির ব্যয় বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬ হাজার ৭৮৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। প্রকল্পটির মূল খরচ ছিল ১ হাজার ১২৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা। অর্থাৎ করোনা মোকাবিলার এ প্রকল্পের খরচ বাড়লো ৫ হাজার ৬৫৯ কোটি ৭ লাখ টাকা।
সভার পরে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, বর্তমান সরকারের ৫৩তম একনেক সভায় সাতটি প্রকল্পের প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। এর মধ্যে ছয়টি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে এছাড়া আরও একটি প্রকল্প সংশোধনীর জন্য পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পাওয়া ছয়টি প্রকল্পে যে ব্যয় হবে তার মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে আসবে ৩ হাজার ৮৬৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা এবং বিদেশী ঋণ থেকে সংগ্রহ করা হবে ৫ হাজার ৭০১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা বলে জানান মন্ত্রী ।
আর যে প্রকল্পটি অনুমোদন পায়নি সেটি হচ্ছে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ প্রকল্পের সংশোধনী।
মন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার অনেক জায়গায় মেডিকেল কলেজসহ অন্যান্য কলেজও করছে।মেডিকেল শিক্ষা, প্রযুক্তি শিক্ষাকে সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেও এতে খুবই আগ্রহী।’
তিনি সাংবাদিকদের জানান, কুষ্টিয়ায় ২০১০ সালে একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের পরিকল্পনা হয়েছিল। ২০১২ সালে নির্মাণকাজ শুরু হওয়া সেই কলেজটির কাজের গতিবিধি সন্তোষজনক নয়। এখন পর্যন্ত এটির কাজ শেষ হয়নি, আজ এসেছিল তার তৃতীয় সংশোধনী। কয়েক দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে আজকে ২০২৩ পর্যন্ত প্রস্তাবনা এসেছে।
এটা নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিরক্তি ও অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন । এবং প্রধানমন্ত্রী এটা তাৎক্ষণিক তদন্ত করে খুব শিগগিরই এর রিপোর্ট চেয়েছেন বলেও জানান পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান