আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সূচিতে বরাবরই আইপিএলের প্রভাব রয়েছে। আর তাই আরো একবার ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগের জন্য আইসিসি তাদের সূচিতে পরিবর্তন এনেছে। এবার আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল ১০ থেকে ১৪ জুনের পরিবর্তে ১৮ থেকে ২২ জুন হওয়ার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের কারণে গত বছর নির্ধারিত সময়ে আইপিএল হয়নি। তবে, এবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড নির্ধারিত সময়েই আইপিলের আয়োজন করবে। আর তা মাথায় রেখেই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের তারিখ পেছানো হচ্ছে।
গতবার আইপিএল অনুষ্ঠিত হয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতে। কিন্তু, এইবার ১৪তম সংস্করণ নিজ দেশেই করতে চায় বিসিসিআই। যেহেতু এপ্রিল ও মে মাসের পুরোটা জুড়েই চলবে আইপিএল, তাই ফাইনালে ওঠা দু’টো দলকেই গুছিয়ে ওঠার সময় দিতে চাইছে আইসিসি। আর তাই এই আটদিন সময় বাড়ানো হলো।
এদিকে, যুক্তরাজ্যে করোনার নতুন ধরন বেশ ভয়ংকর হয়ে ওঠায় সতর্ক থাকতে চাইছে আইসিসি। এমন পরিস্থিতিতে সফরকারী দলকে হয়তো ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হতে পারে।
ফাইনালের তারিখ পেছানোতে বর্তমানে পয়েন্টে চারে থাকা ইংল্যান্ডের বেশ লাভই হলো। আগামী মাসেই তারা ভারতে টেস্ট সিরিজ খেলবে। পয়েন্টের শতকরা হিসাবে তিনে থাকা অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ০.৫ ব্যবধানে পিছিয়ে আর দুইয়ে থাকা নিউজিল্যান্ডের চেয়ে ১.৩ শতাংশ পিছিয়ে রয়েছে তারা। এ অবস্থায় ইংল্যান্ড যদি ভারতের মাটিতে প্রয়োজনীয় পয়েন্ট আদায় করতে ব্যর্থ হয়ও, তারপরও শেষ একটা সুযোগ তারা পাবেন। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ড দু’টি টেস্ট খেলবে জুনের প্রথম দুই সপ্তাহেই। এর ফলে নিজেদের পয়েন্ট বাড়ানোর সাথে সাথে নিউজিল্যান্ডের পয়েন্ট খোয়ানোর সম্ভাবনা সুযোগ বাড়িয়ে দিচ্ছে ইংল্যান্ডের।
এদিকে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট এবং শতাংশ নিয়ে শীর্ষে আছে ভারত, পরপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া। যদিও শুধু পয়েন্টের দিক দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে এগিয়ে আছে ইংল্যান্ড। কিন্তু ম্যাচ বেশি খেলায় শতকরা হারে ইংল্যান্ড চারে রয়েছে। তবে, অন্য দলগুলো পঞ্চাশ ভাগেরও কম পয়েন্ট পাওয়ায় ফাইনাল খেলার দৌড়ে এ চার দলই আছে। এই তালিকায় বাংলাদেশ তিন ম্যাচ খেলে শূন্য পয়েন্টে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে।