পূর্ব ঘোষিত সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
গত কয়েকদিন বসুরহাট এলাকায় রাজনৈতিক বিরোধের জেরে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের ঘোষিত পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে অশান্তি বিরাজ করছিলো কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায়। বাদল গ্রুপ তাদের কর্মসূচির বিষয়ে কিছু না জানালেও কাদের মির্জা সরে এসেছেন সব রকমের কর্মসূচি থেকে।
২০ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাতে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে এবং ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই কাদের মির্জা।
কাদের মির্জা ফেসবুক স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন, ‘নোয়াখালীর রাজনীতির চলমান সংকট নিরসনে আমাদের সবার আস্থার শেষ ঠিকানা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। তার সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ইতোপূর্বে ঘোষিত সব ধরনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিলাম। আশাকরি জননেত্রী শেখ হাসিনা ও আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদেরের হস্তক্ষেপে সব সমস্যার সমাধান অতিশিগগিরই হবে।‘
শনিবার সন্ধ্যায় মির্জা কাদেরকে সংগঠনের সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে পাঠায় জেলা আওয়ামী লীগ।
সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে দলীয় নেতাকর্মীদের উপর হামলা, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে আপত্তিকর বক্তব্য ও ফেসবুক লাইভে সংগঠনবিরোধী অশোভনীয় মন্তব্যের অভিযোগে আবদুল কাদের মির্জাকে সংগঠনের সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। একই সঙ্গে দলীয় গঠনতন্ত্রপরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে দল থেকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কার করার জন্য আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদে সুপারিশ করা হয়েছে।‘
দলের কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি ও বহিষ্কারের সুপারিশের কয়েক ঘণ্টা পরেই তা প্রত্যাহার করে নেয় জেলা আওয়ামী লীগ।
নোয়াখালী আওয়ামী লীগের শান্তি-শৃঙ্খলার স্বার্থে আদেশটি স্থগিত করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী।