দেশে বঙ্গভ্যাক্সসহ তিনটি টিকা মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমোদন পেতে যাচ্ছে। এর আগে, বাংলাদেশের কোম্পানি গ্লোব বায়োটেক নিজেদের উৎপাদিত করোনা টিকার ট্রায়াল পরিচালনার অনুমোদন চেয়েছিল। নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) তাদের এই আবেদনের পাঁচ মাস পর ফেইজ ওয়ান হিউম্যান ট্রায়ালের অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গ্লোব বায়োটেকের পাশাপাশি চীন ও ভারতসহ মোট তিনটি প্রতিষ্ঠানকে। তবে, পুরোপুরি অনুমোদনের জন্য বেশকিছু শর্ত রেখেছে বিএমআরসি।
গতকাল বুধবার (১৬ জুন) কাউন্সিলের পরিচালক অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন সংবাদমাধ্যমকে জানান, তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএমআরসির ইথিক্যাল বোর্ড। তবে, অবশ্যই কতগুলো নিয়ম তাদেরকে পালন করতে হবে। এর মধ্যে অন্যতম হলো, বানর বা শিম্পাঞ্জির ওপর টিকার পরীক্ষা থাকতে হবে। এদের ওপর টিকাগুলোর কার্যকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সব কাগজপত্র বিএমআরসিতে জমা দিতে হবে।
তবে গ্লোব বায়োটেক জানিয়েছে, দেশে বানর বা শিম্পাঞ্জির ওপর টিকা পরীক্ষা করার সুযোগ নেই। আর বিদেশে এর জন্য খরচ করতে হবে ১৫ থেকে ২০ লাখ মার্কিন ডলার। অনুমোদন পেলে মাসে কোটি ডোজ টিকা উৎপাদন করতে পারবে বলে দাবি প্রতিষ্ঠানটির। যার প্রতি ডোজের দাম পড়বে ১০ থেকে ১২ ডলার।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের কোম্পানি গ্লোব বায়োটেকের পাশাপাশি ভারতের সরকারি প্রতিষ্ঠান ভারত বায়োটেক এবং চীনের সরকারি টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ‘আইএমবিসিএএমএস’ তাদের টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন চেয়েছে বিএমআরসি’র কাছে।