বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ১২০ নেতাকর্মীকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচন চলাকালে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা মামলায় আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত জামিন দিয়ে তাদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।
আজ বুধবার বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ১২০ জনের জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন। আদালতে এদিন জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, সালাউদ্দিন দোলন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সজল, ব্যারিস্টার মো. মীর হেলাল, অ্যাডভোকেট মির্জা আল মহামুদ, মজিবুর রহমান মিয়া ও কাজী মো. জয়নাল আবেদিন।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মোট ১১টি বাস পোড়ানো হয়। এসব ঘটনায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের দায়ী করে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১০টির বেশি মামলা হয়। এর বাইরে পুলিশের কাজে বাধা এবং গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায়ও মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবারের ঘটনায় যেসব মামলা হয়েছে, তাতে মোট আসামি সাড়ে ছয় শর মতো। এর মধ্যে বাস পোড়ানো মামলার মোট আসামি সাড়ে পাঁচ শর মতো।
১৬ নভেম্বর বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল জানিয়েছিলেন, ১৪টি মামলায় বিএনপির ১৪০ জন নেতাকর্মী হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ পৃথক জামিন আবেদনগুলো হাইকোর্টে শুনানির জন্য ওঠে। বিএনপির নেতাকর্মীরা আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে আগাম জামিন চান।