সালটা ১৯৯৬। হাসান রাজার বয়স তখন ১৪ বছর ২২৭ দিন। সেই বয়সেই টেস্ট ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন পাকিস্তানের এই ক্রিকেটার। এখনো কেউ ভাঙতে পারেননি হাসানের সবচেয়ে কম বয়সে খেলার রেকর্ড। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলরে [আইসিসি] নতুন নিয়মে সেই রেকর্ড একরকম অমরত্বও পাচ্ছে। কারণ এখন থেকে বিশেষ ব্যতিক্রম ছাড়া ১৫ বয়সের কম বয়সী কোনো ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক পর্যায়ের দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন না।
ক্রিকেটারদের সুরক্ষার কথা ভেবেই মূলত আইসিসি নিয়েছে এই অভিনব উদ্যোগ। তবে ১৫ বছরের কম বয়সীদের খেলার পথ একেবারের বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তেমনটাও নয়। ব্যতিক্রম কাউকে খেলাতে হলে আবেদন করতে হবে আইসিসি বরাবর। তাদের সম্মতি মিললেই ওই নির্দিষ্ট ক্রিকেটার নামতে পারবেন মাঠের লড়াইয়ে।
শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নয়, অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেটের জন্যও প্রযোজ্য থাকবে এই নিয়ম।
ছেলেদের ক্রিকেটের ওয়ানডে এবং টেস্ট ফরম্যাটে রাজা একা হলেও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১৫ বছরের কম বয়সের খেলা ক্রিকেটার আছেন মারিয়ান ঘেরাসিম এবং মিত ভাবসার। দুজনই আইসিসির সহযোগী দেশের ক্রিকেটার। অন্যদিকে ২০০০ সালে পাকিস্তানের নারী ক্রিকেটার সাজিদা শাহর টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ১২ বছর ১৭৮ দিন বয়সে!