ঘুর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে গত দুই দিন ধরে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে সারাদিন বৃষ্টি হয়েছে। প্রথম দিনে হালকা বৃষ্টি নামলেও গতকাল মুষলধারে বৃষ্টি নামে। টানা বৃষ্টিতে মানুষের জীবনে নেমে আসে সীমাহীন দুর্ভোগ।
মঙ্গলবার সকালে ঝুম বৃষ্টি না থাকলেও হালকা বৃষ্টি দিয়ে রাজধানীবাসীর দিন শুরু হয়। ইলশে গুঁড়ি মাথায় নিয়েই নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশে সাধারণ মানুষ রওনা দেন। বৃষ্টি থেকে রেহাই পেতে কারো মাথায় ছাতা, কারো গায়ে জড়ানো রেইনকোট।
একদিকে বৃষ্টি যন্ত্রণা অন্যদিকে গণপরিবহন না পাওয়ার দুর্ভোগ – এ নিয়েই সময় বাঁচাতে অনেকে হেঁটেই রওনা দিয়েছেন কাজের উদ্দেশে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, রাজধানীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবারও বৃষ্টি হতে পারে। তবে দুপুরের পর সূর্যের দেখা মিলতে পারে।
গতকাল সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তর তাদের সর্বশেষ বার্তায় জানায়, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে পড়ছে। এটি এখন লঘুচাপে পরিণত হয়ে অবস্থান করছে বাংলাদেশের উপকূলে। আরও দুর্বল হয়ে নিঃশেষ হয়ে যাবে। তবে এর প্রভাবে বজ্র মেঘ তৈরি অব্যাহত থাকায় সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রাখা হয়েছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ময়মনসিংহ ও রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগ ছাড়া সব বিভাগেই বৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ১৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে যশোরে।